সেদিন রাতে খুব উপভোগ করেছিলাম সাজেকটি। পাহাড়ে চূড়াতে ছোট্ট একটি রুম। রাতের খাবার শেষে ৪ বন্ধু আবার বসলা একটি মাচায় বসে যে যেমন পারছে গান করছিল। পারভেজ আশপাশ থেকে শুকনো কিছু ডাল-খড় প্লাস্টিক যা পাচ্ছে তাই নিয়ে এক জায়গাতে সংগ্রহ করছে আগুন দেয়ার জন্য। তার পর আমরা চেচিয়ে চেচিয়ে গান করছি। হঠাৎ দূর থেকে আমাদের গানের সাথে আরেক ট্যুর লাভাররা গান ধরছে। বেশ অনেকটা সময় চলে গেল অথচ এতটা পথ বাইক যার্নি করে এসেও কোন ক্লান্তি আসছিলা না শরিরে। আগুন নিভিয়ে ঘুমাতে গেলাম সবাই। খুব ভোরে আর উঠতে আমি পারি নি তাই ভোরের সূর্য উদয় আমার চোখে পরে নি। তবে বাকিদের আবার সব কিছুতের বেশ নজর কেড়েছিল। সকালের নাস্তা করে কংলাক পাহাড়ে ঘুরাঘুরি করে হঠাৎ মিঠু বলে উঠল দোস্ত সাজেক দেখা শেষ চল এবার কাপ্তাই যাই। আমাদের আর কে পায় যেই কথা সেই কাজ সাথে সাথে ব্যাগ গুছিয়ে রউনা হলাম কাপ্তাইয়ের উদ্দেশ্যে। আবার পাহাড়ি রাস্তা বয়ে গুগুল ম্যাপ ধরে এগিয়ে যাচ্ছি কাপ্তাই লেক দেখার জন্য।
যতক্ষন বাইক চালাচ্ছি বিরক্তি লাগছিলা না, মাঝে মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থামিয়ে তল্লাশি করছিল, কোথায় যাচ্ছি কোথায় যাব ইত্যাদি ।
প্রায় আড়াই ঘন্টার বাইক জার্নি করে আমরা অবশেষে পৌঁছে গেলাম রাঙ্গামাটি শহরে। সেখানে পেট ভরে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে, কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে রাঙামাটির লেকর টিকিট নিয়ে ঢুকে পড়লাম। কাপ্তাই লেকে ঢোকার পরে প্রথমে চোখ পড়ল ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে। কিছুটা ফটো সেশন সেরে ভিতরটা হাটাহাটি শুরু করলাম। বাংলার চৈত্র মাস থাকায় লেকটাতে পর্যাপ্ত পানি ছিল না বর্ষাকালে হয়তো গেলে আরো অনেক বেশি মনমুগ্ধকর লাগতো। আমরা অনেকটা সময় পারকলাম সেখানে, পাহাড়ি আনারস খেলাম সবাই খুব মৃষ্টি ছিল। ইচ্ছে ছিলো আজ রাতটি রাঙ্গামাটি কোন এক হোটেলে থেকে পরে আমরা কাপ্তাই লেক দেখতে যাব। কিন্তু আমি কেন যানি আর সেখানে যেতে দেই নি তাদের। সত্যি বলতে ঝুলন্ত ব্রিজে লেকে কেমন পানি ছিল না তাই আর লেক দেখার ইচ্ছে মরে গেছে। এবার সময় এসেছে রাঙ্গামাটি থেকে বিদায় নেয়ার। তারপর আবার আমাদের আরেক নতুন যাত্রা শুরু হল।
পরবর্তী গন্তব্য কোথায় ছিল তার বিস্তারিত নতুন আরেকটি পোস্টে জানবো ইনশাআল্লাহ।
সবাই ভাল থাকবে।