পাহাড়ের দেশে কোন একদিন...

IMG_0284 (1).jpg

দিনটি ছিলো মার্চ ০৬, ২০২২। আমি চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্ট ছিলাম অফিসের কাজ। কাজের চাপ সামলে নিজের জন্য একটুকরো সময় বের করে নিলাম। বাইক ভ্রমন আমার খুব খুবই পছন্দের। যেই কথা সেই কাজ, সেল ফোনটি হাতে নিয়ে কল দিলাম বন্ধুদের জিজ্ঞাস করলাম, চল সাজেক যাই। ০৩ সেকেন্ডের কল আর সিদ্ধান্ত ফাইনাল। যেই কথা সেই কাজ, আমরা ৪ জন, আমি চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড একটা হোটেলে অবস্থান নেই, মিঠু, মিরাজ আর পাপ্পু নারায়গঞ্জ থাকে ভোরে রওনা দেয়। আমার সাথে মিট পয়েন্ট ছিল মিরসরাই সকাল ১০টা। ২ বাইক মানুষ ৪ জন। একদম পার্ফেক্ট ছিল। সকাল নাস্তা করে বেরিয়ে গেলাম মিরসরাই এদিকে ওরাও প্রায় চলে এসেছে কাছা কাছি। অফিসের সকল কিছু সুন্দরবন কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিলাম সাথে নিলাম শুধু একটা ব্যাগ।

তাদের সাথে দেখা হলে বাইকের কিছু কাজ করিয়ে নিলাম। এবার যাওয়া যাক, গুগল ম্যাপ চালু করে বেরিয়ে পরলাম ৪ বন্ধু, ঘন্টাখানেক যাওয়ার পর থেকে দেখা মিলল পাহাড়, চোখ জুরিয়ে যাচ্ছে দেখেই। পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তা বাইক রাইডিং টা আরো রোমাঞ্চকর করে দিচ্ছে। আমার বাইকে আমি আর মিঠু ছিলাম। পাপ্পু নতুন বাইক নিয়েছিল তখন। ম্যাপ আর রাস্তার মাইলস্টোন আমাদের নিয়ে যাচ্ছে খাগড়াছড়ি দিকে যাচ্ছি পাহাড়ের প্রেমে। সেখানে একটা মধ্যহ্নভোজ বিরতি দিলাম। ৪ জন পেটভরে খেয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম। প্রথম যাচ্ছি সাজেক। শুনেছি সাজেক যেতে হলে নাকি চেকপোস্ট থেকে টহল বাহিনির গাড়ির সাথে যেতে হয়। সেটাও নাকি দিনে ২ বার যাওয়া যায়। আমরা সকালের এন্ট্রি মিস করেছি তাই ২য় এন্ট্রি মিস না করেতে বেরিয়ে পড়লাম। যাওয়ার সময় মনে হল সাজেক নাকি পানির সংকট হয়। তাই ৫ লিটার একটা পানির বোতল কিনে নিলাম। হাহাহ এবার পানি টানতে কিছুটা সমস্য হচ্ছে, সকল সমস্যা ভুলে আবার রওনা দিলাম। অবশেষে সময়মত এন্ট্রি পয়েন্টে এসে নামলাম।

এবার সয়ম হয়েছে সাজেক ডুকার এন্ট্রি পয়েন্ট নিজেদের নাম লিখে বেরিয়ে পরলাম টহল গাড়ির সাথে। আশেপাশে সবুজে চাদর মোরান পাহাড় আর বিশাল উচু নিচু পাহাড় কেটে রাস্তা, আমার রাইডিং এ যেমন নতুন এক অভিজ্ঞতা তেমন বাজেও অভিজ্ঞতা। হঠাৎ করে অনেক উচুতে উঠতে হচ্ছে আবার সমতল আবার অনেক নিচু। খুব সতর্ক হয়ে বাইক চালাচ্ছি। মাঝে মধ্যে দেখা মিলে কেউ কেউ এক্সিডেন্ট করে পড়ে আছে। তাকে ধরে উদ্ধার করা। এসব দেখে রাস্তা আমার কাছে খুব চ্যালেঞ্জিং মনে হল। ঘন্টা খানেক পর সাজের এর শীষ চূড়া এখানে উঠলেই আমরা সাজেক পয়েন্ট।

মজার ব্যপার হল তীরে এসে তরী ডুবল। সেখেন গিয়ে আমার বাইক আর উঠাতে পারি নি। বাইক স্লিপ করে নিচের দিকে চলে যাচ্ছিল, বাইকটিকে ধিরে ধিরে রাস্তায় শুয়েদিলাম। মিঠু বলে দোস্ত তুই এক কাজ কর তুই আসতে আসতে হেটে উঠে যা আমি পাতলা মানুষ আমি বাইক নিয়ে উপরে উঠি। আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে হেটে উঠছি। এটা যে এত উচু উঠতেও নিজের কাছে কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ আল্লাহ করছি। অবশেষে সাজেক।
কোন কথা না বলে আমি একটি মাচায় বিশ্রাম নিচ্ছি। চারদিকের প্রকৃতি উপভোগ করছি। অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য, চোখ জুড়িয়ে যায়। সারাদিনের ক্লান্তি নিমেশেই শেষ। যাত্রা এখানেই শেষ নয়। আরো বাকি আছে।
 
  • লাভ
Reactions: Arif
আরে দারুণ দারুণ... বাইক নিয়ে দেখি অনেক ট্যুর হয়ে গেছে! পরে কি হলো সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম। বাই দা ওয়ে, সাধারণ ভাষায় এতো সুন্দর লেখা!! দারুণ
 
টি-শার্ট দোকানে। অনুগ্রহ করে আমার পোস্টে এসব লিখবেন না। পোস্ট সম্পর্কে কিছু হলে জানান। ধন্যবাদ
 
  • লাইক
Reactions: Arif

কমিউনিটি ফিড

কুহুডাক আপনার ভ্রমণ সঙ্গী!
ডুবাই কামলা ভিসা হচ্চে
আমি হবো ভ্রমণ পাখি!

বাংলাদেশের সেরা ভ্রমণ স্থান কোনটি?

  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

    ভোট: 2 50.0%
  • সুন্দরবন

    ভোট: 0 0.0%
  • সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

    ভোট: 1 25.0%
  • সাজেক ভ্যালি

    ভোট: 1 25.0%
  • পানাম নগর

    ভোট: 0 0.0%
  • জাফলং

    ভোট: 0 0.0%

ট্রেন্ডিং পোস্ট