সিলেট বিভাগের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

  • আপনি যদি ইতিমধ্যে গুগল দিয়ে কুহুডাকে লগইন বা রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন, তবে কমিউনিটিতে একই ইমেইল বা ইউজারনেম অথবা গুগল দিয়ে সরাসরি লগইন করতে সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। বিস্তারিত দেখুন…

সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ও পর্যটনসমৃদ্ধ এলাকা। অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য, চা বাগান, পাহাড়ি নদী এবং আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই নিবন্ধে সিলেট বিভাগের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।

সিলেট বিভাগের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান


আরও: কুয়াকাটা দেখার মতো কি কি আছে

১. জাফলং​


কেন বিখ্যাত: জাফলং বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান, যা খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জল, পাথরের তৈরি তলদেশ এবং চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে বাস, মাইক্রোবাস বা সিএনজি অটোরিকশায় সহজেই জাফলং যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে, যেমন Hotel Noorjahan Grand, Rose View Hotel, Hotel Holy Gate।

কোথায় খাবেন: জাফলং এবং সিলেট শহরে অনেক ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে, যেমন Pach Bhai Restaurant, Panshi Restaurant।


২. বিছনাকান্দি​


কেন বিখ্যাত: পাহাড়, নদী, এবং বড় বড় পাথরের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত বিছনাকান্দি সিলেটের একটি অনন্য স্থান। বর্ষাকালে এর সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়।

কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে সিএনজি বা লেগুনায় গোয়াইনঘাট পৌঁছে ট্রলার ভাড়া করে বিছনাকান্দি যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরে থাকা সুবিধাজনক।

কোথায় খাবেন: স্থানীয় রেস্টুরেন্ট ও সিলেট শহরের রেস্টুরেন্টগুলোতে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।


৩. রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট​


কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন। বর্ষাকালে এটি এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে মোটরবাইক, সিএনজি বা প্রাইভেট কারে পৌঁছে নৌকা ভাড়া করে রাতারগুলে যেতে হয়।

কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরেই থাকা ভালো।

কোথায় খাবেন: স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খাবারের ব্যবস্থা আছে।


৪. লালাখাল​


কেন বিখ্যাত: বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ নীলচে পানির নদী হিসেবে পরিচিত লালাখাল। নৌকা ভ্রমণের জন্য এটি আদর্শ স্থান।

কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে জৈন্তাপুর হয়ে লালাখালে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন: সিলেট শহর বা জৈন্তাপুরে থাকতে পারেন।

কোথায় খাবেন: জৈন্তাপুর ও সিলেটের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবার পাওয়া যায়।


৫. হাকালুকি হাওর​


কেন বিখ্যাত: বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর এটি। শীতকালে এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

কিভাবে যাবেন: সিলেট বা মৌলভীবাজার থেকে নৌকা বা ট্রলারে হাওরে পৌঁছানো যায়।

কোথায় থাকবেন: কুলাউড়া, বড়লেখা, বা মৌলভীবাজারে থাকতে পারেন।

কোথায় খাবেন: স্থানীয় বাজার ও মৌলভীবাজার শহরে ভালো রেস্টুরেন্ট আছে।

৬. মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত​


কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। জলপ্রপাতের ধারে সবুজ অরণ্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

কিভাবে যাবেন: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা থেকে সিএনজি বা বাসে সহজেই মাধবকুণ্ড পৌঁছানো যায়।

কোথায় থাকবেন: বড়লেখা, মৌলভীবাজার অথবা সিলেট শহরে থাকতে পারেন।

কোথায় খাবেন: বড়লেখা বাজারে বেশ কিছু ভালো মানের খাবারের দোকান রয়েছে।


৭. শ্রীমঙ্গল চা বাগান​


কেন বিখ্যাত: শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের চা রাজধানী। অসংখ্য চা বাগান, সবুজ পাহাড় আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

কিভাবে যাবেন: সিলেট বা ঢাকা থেকে ট্রেন বা বাসে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন: শ্রীমঙ্গলে বেশ কিছু রিসোর্ট ও হোটেল আছে, যেমন Grand Sultan Tea Resort & Golf, Green Leaf Guest House।

কোথায় খাবেন: শ্রীমঙ্গল শহরের Panshi Restaurant, Kutumbari Restaurant ইত্যাদি জায়গায় খেতে পারেন।


৮. হাম হাম জলপ্রপাত​


কেন বিখ্যাত: অত্যন্ত চমৎকার ও অফবিট একটি জলপ্রপাত, যেখানে যেতে হলে ট্রেকিং করতে হয়। এটি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান।

কিভাবে যাবেন: শ্রীমঙ্গল থেকে মোটরসাইকেল বা গাড়িতে কলাবন পৌঁছে ট্রেকিং করতে হয়।

কোথায় থাকবেন: শ্রীমঙ্গলে থাকা উত্তম হবে।

কোথায় খাবেন: শ্রীমঙ্গলে স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খাবারের ভালো ব্যবস্থা আছে।


৯. জাদুকাটা নদী​


কেন বিখ্যাত: সুনামগঞ্জের অন্যতম স্বচ্ছ পানির নদী, যা পাহাড়ি সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানকার নৌকা ভ্রমণ বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

কিভাবে যাবেন: সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর হয়ে নৌকায় সহজেই যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন: সুনামগঞ্জ শহরে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।

কোথায় খাবেন: সুনামগঞ্জের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেশীয় খাবারের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।


১০. টাঙ্গুয়ার হাওর​


কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির হাওর, যা বর্ষায় এক অপূর্ব রূপ ধারণ করে। এখানে নৌকা ভ্রমণ খুবই জনপ্রিয়।

কিভাবে যাবেন: সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর হয়ে ট্রলার বা নৌকায় সহজেই যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন: সুনামগঞ্জ শহর অথবা তাহিরপুরে থাকার ব্যবস্থা আছে।

কোথায় খাবেন: সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর বাজারে খাবারের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।

সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল, যেখানে প্রকৃতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে। পাহাড়, ঝর্ণা, চা বাগান, হাওর এবং স্বচ্ছ নদীর টানে এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। প্রকৃতিপ্রেমী, অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী কিংবা আরামদায়ক ভ্রমণ পছন্দ করা যে কেউ সিলেট বিভাগের এই দর্শনীয় স্থানগুলো থেকে মুগ্ধ হতে বাধ্য। সঠিক পরিকল্পনা ও ভ্রমণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে ঘুরতে গেলে আপনার সিলেট ভ্রমণ হয়ে উঠবে আরও আনন্দময় ও স্মরণীয়। তাই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সবুজে ঘেরা সিলেটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে!

ফেসবুক: কুহুডাক
 

কমিউনিটি ফিড

কক্সবাজারের সেরা ৫ হোটেল
আপনার সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী আছে?
প্রকৃতি দেখুন এবং আল্লাহর সৃষ্টির সৌন্দর্য উপভোগ করুন।
কুহুডাক ভ্রমণ কমিউনিটির রিওয়ার্ড বেসড গিফট উদ্যোগ। আপনি যুক্ত হচ্ছেন কখন?
পৃথিবী দেখো, মন খুলে। ভ্রমণ জীবনের সেরা শিক্ষক।

বাংলাদেশের সেরা ভ্রমণ স্থান কোনটি?

  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

    ভোট: 3 100.0%
  • সুন্দরবন

    ভোট: 0 0.0%
  • সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

    ভোট: 0 0.0%
  • সাজেক ভ্যালি

    ভোট: 0 0.0%
  • পানাম নগর

    ভোট: 0 0.0%
  • জাফলং

    ভোট: 0 0.0%

ট্রেন্ডিং পোস্ট