সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ও পর্যটনসমৃদ্ধ এলাকা। অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য, চা বাগান, পাহাড়ি নদী এবং আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই নিবন্ধে সিলেট বিভাগের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।
আরও: কুয়াকাটা দেখার মতো কি কি আছে
কেন বিখ্যাত: জাফলং বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান, যা খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জল, পাথরের তৈরি তলদেশ এবং চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে বাস, মাইক্রোবাস বা সিএনজি অটোরিকশায় সহজেই জাফলং যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে, যেমন Hotel Noorjahan Grand, Rose View Hotel, Hotel Holy Gate।
কোথায় খাবেন: জাফলং এবং সিলেট শহরে অনেক ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে, যেমন Pach Bhai Restaurant, Panshi Restaurant।
কেন বিখ্যাত: পাহাড়, নদী, এবং বড় বড় পাথরের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত বিছনাকান্দি সিলেটের একটি অনন্য স্থান। বর্ষাকালে এর সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়।
কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে সিএনজি বা লেগুনায় গোয়াইনঘাট পৌঁছে ট্রলার ভাড়া করে বিছনাকান্দি যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরে থাকা সুবিধাজনক।
কোথায় খাবেন: স্থানীয় রেস্টুরেন্ট ও সিলেট শহরের রেস্টুরেন্টগুলোতে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন। বর্ষাকালে এটি এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে মোটরবাইক, সিএনজি বা প্রাইভেট কারে পৌঁছে নৌকা ভাড়া করে রাতারগুলে যেতে হয়।
কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরেই থাকা ভালো।
কোথায় খাবেন: স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খাবারের ব্যবস্থা আছে।
কেন বিখ্যাত: বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ নীলচে পানির নদী হিসেবে পরিচিত লালাখাল। নৌকা ভ্রমণের জন্য এটি আদর্শ স্থান।
কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে জৈন্তাপুর হয়ে লালাখালে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সিলেট শহর বা জৈন্তাপুরে থাকতে পারেন।
কোথায় খাবেন: জৈন্তাপুর ও সিলেটের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবার পাওয়া যায়।
কেন বিখ্যাত: বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর এটি। শীতকালে এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
কিভাবে যাবেন: সিলেট বা মৌলভীবাজার থেকে নৌকা বা ট্রলারে হাওরে পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন: কুলাউড়া, বড়লেখা, বা মৌলভীবাজারে থাকতে পারেন।
কোথায় খাবেন: স্থানীয় বাজার ও মৌলভীবাজার শহরে ভালো রেস্টুরেন্ট আছে।
কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। জলপ্রপাতের ধারে সবুজ অরণ্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কিভাবে যাবেন: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা থেকে সিএনজি বা বাসে সহজেই মাধবকুণ্ড পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন: বড়লেখা, মৌলভীবাজার অথবা সিলেট শহরে থাকতে পারেন।
কোথায় খাবেন: বড়লেখা বাজারে বেশ কিছু ভালো মানের খাবারের দোকান রয়েছে।
কেন বিখ্যাত: শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের চা রাজধানী। অসংখ্য চা বাগান, সবুজ পাহাড় আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
কিভাবে যাবেন: সিলেট বা ঢাকা থেকে ট্রেন বা বাসে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: শ্রীমঙ্গলে বেশ কিছু রিসোর্ট ও হোটেল আছে, যেমন Grand Sultan Tea Resort & Golf, Green Leaf Guest House।
কোথায় খাবেন: শ্রীমঙ্গল শহরের Panshi Restaurant, Kutumbari Restaurant ইত্যাদি জায়গায় খেতে পারেন।
কেন বিখ্যাত: অত্যন্ত চমৎকার ও অফবিট একটি জলপ্রপাত, যেখানে যেতে হলে ট্রেকিং করতে হয়। এটি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান।
কিভাবে যাবেন: শ্রীমঙ্গল থেকে মোটরসাইকেল বা গাড়িতে কলাবন পৌঁছে ট্রেকিং করতে হয়।
কোথায় থাকবেন: শ্রীমঙ্গলে থাকা উত্তম হবে।
কোথায় খাবেন: শ্রীমঙ্গলে স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খাবারের ভালো ব্যবস্থা আছে।
কেন বিখ্যাত: সুনামগঞ্জের অন্যতম স্বচ্ছ পানির নদী, যা পাহাড়ি সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানকার নৌকা ভ্রমণ বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
কিভাবে যাবেন: সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর হয়ে নৌকায় সহজেই যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সুনামগঞ্জ শহরে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।
কোথায় খাবেন: সুনামগঞ্জের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেশীয় খাবারের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।
কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির হাওর, যা বর্ষায় এক অপূর্ব রূপ ধারণ করে। এখানে নৌকা ভ্রমণ খুবই জনপ্রিয়।
কিভাবে যাবেন: সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর হয়ে ট্রলার বা নৌকায় সহজেই যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সুনামগঞ্জ শহর অথবা তাহিরপুরে থাকার ব্যবস্থা আছে।
কোথায় খাবেন: সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর বাজারে খাবারের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।
সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল, যেখানে প্রকৃতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে। পাহাড়, ঝর্ণা, চা বাগান, হাওর এবং স্বচ্ছ নদীর টানে এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। প্রকৃতিপ্রেমী, অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী কিংবা আরামদায়ক ভ্রমণ পছন্দ করা যে কেউ সিলেট বিভাগের এই দর্শনীয় স্থানগুলো থেকে মুগ্ধ হতে বাধ্য। সঠিক পরিকল্পনা ও ভ্রমণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে ঘুরতে গেলে আপনার সিলেট ভ্রমণ হয়ে উঠবে আরও আনন্দময় ও স্মরণীয়। তাই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সবুজে ঘেরা সিলেটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে!
ফেসবুক: কুহুডাক
আরও: কুয়াকাটা দেখার মতো কি কি আছে
১. জাফলং
কেন বিখ্যাত: জাফলং বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান, যা খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জল, পাথরের তৈরি তলদেশ এবং চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে বাস, মাইক্রোবাস বা সিএনজি অটোরিকশায় সহজেই জাফলং যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে, যেমন Hotel Noorjahan Grand, Rose View Hotel, Hotel Holy Gate।
কোথায় খাবেন: জাফলং এবং সিলেট শহরে অনেক ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে, যেমন Pach Bhai Restaurant, Panshi Restaurant।
২. বিছনাকান্দি
কেন বিখ্যাত: পাহাড়, নদী, এবং বড় বড় পাথরের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত বিছনাকান্দি সিলেটের একটি অনন্য স্থান। বর্ষাকালে এর সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়।
কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে সিএনজি বা লেগুনায় গোয়াইনঘাট পৌঁছে ট্রলার ভাড়া করে বিছনাকান্দি যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরে থাকা সুবিধাজনক।
কোথায় খাবেন: স্থানীয় রেস্টুরেন্ট ও সিলেট শহরের রেস্টুরেন্টগুলোতে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
৩. রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন। বর্ষাকালে এটি এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে মোটরবাইক, সিএনজি বা প্রাইভেট কারে পৌঁছে নৌকা ভাড়া করে রাতারগুলে যেতে হয়।
কোথায় থাকবেন: সিলেট শহরেই থাকা ভালো।
কোথায় খাবেন: স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খাবারের ব্যবস্থা আছে।
৪. লালাখাল
কেন বিখ্যাত: বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ নীলচে পানির নদী হিসেবে পরিচিত লালাখাল। নৌকা ভ্রমণের জন্য এটি আদর্শ স্থান।
কিভাবে যাবেন: সিলেট শহর থেকে জৈন্তাপুর হয়ে লালাখালে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সিলেট শহর বা জৈন্তাপুরে থাকতে পারেন।
কোথায় খাবেন: জৈন্তাপুর ও সিলেটের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবার পাওয়া যায়।
৫. হাকালুকি হাওর
কেন বিখ্যাত: বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর এটি। শীতকালে এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
কিভাবে যাবেন: সিলেট বা মৌলভীবাজার থেকে নৌকা বা ট্রলারে হাওরে পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন: কুলাউড়া, বড়লেখা, বা মৌলভীবাজারে থাকতে পারেন।
কোথায় খাবেন: স্থানীয় বাজার ও মৌলভীবাজার শহরে ভালো রেস্টুরেন্ট আছে।
৬. মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। জলপ্রপাতের ধারে সবুজ অরণ্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
কিভাবে যাবেন: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা থেকে সিএনজি বা বাসে সহজেই মাধবকুণ্ড পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন: বড়লেখা, মৌলভীবাজার অথবা সিলেট শহরে থাকতে পারেন।
কোথায় খাবেন: বড়লেখা বাজারে বেশ কিছু ভালো মানের খাবারের দোকান রয়েছে।
৭. শ্রীমঙ্গল চা বাগান
কেন বিখ্যাত: শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের চা রাজধানী। অসংখ্য চা বাগান, সবুজ পাহাড় আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
কিভাবে যাবেন: সিলেট বা ঢাকা থেকে ট্রেন বা বাসে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: শ্রীমঙ্গলে বেশ কিছু রিসোর্ট ও হোটেল আছে, যেমন Grand Sultan Tea Resort & Golf, Green Leaf Guest House।
কোথায় খাবেন: শ্রীমঙ্গল শহরের Panshi Restaurant, Kutumbari Restaurant ইত্যাদি জায়গায় খেতে পারেন।
৮. হাম হাম জলপ্রপাত
কেন বিখ্যাত: অত্যন্ত চমৎকার ও অফবিট একটি জলপ্রপাত, যেখানে যেতে হলে ট্রেকিং করতে হয়। এটি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান।
কিভাবে যাবেন: শ্রীমঙ্গল থেকে মোটরসাইকেল বা গাড়িতে কলাবন পৌঁছে ট্রেকিং করতে হয়।
কোথায় থাকবেন: শ্রীমঙ্গলে থাকা উত্তম হবে।
কোথায় খাবেন: শ্রীমঙ্গলে স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খাবারের ভালো ব্যবস্থা আছে।
৯. জাদুকাটা নদী
কেন বিখ্যাত: সুনামগঞ্জের অন্যতম স্বচ্ছ পানির নদী, যা পাহাড়ি সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানকার নৌকা ভ্রমণ বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
কিভাবে যাবেন: সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর হয়ে নৌকায় সহজেই যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সুনামগঞ্জ শহরে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।
কোথায় খাবেন: সুনামগঞ্জের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেশীয় খাবারের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।
১০. টাঙ্গুয়ার হাওর
কেন বিখ্যাত: এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির হাওর, যা বর্ষায় এক অপূর্ব রূপ ধারণ করে। এখানে নৌকা ভ্রমণ খুবই জনপ্রিয়।
কিভাবে যাবেন: সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর হয়ে ট্রলার বা নৌকায় সহজেই যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সুনামগঞ্জ শহর অথবা তাহিরপুরে থাকার ব্যবস্থা আছে।
কোথায় খাবেন: সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর বাজারে খাবারের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।
সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল, যেখানে প্রকৃতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে। পাহাড়, ঝর্ণা, চা বাগান, হাওর এবং স্বচ্ছ নদীর টানে এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। প্রকৃতিপ্রেমী, অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী কিংবা আরামদায়ক ভ্রমণ পছন্দ করা যে কেউ সিলেট বিভাগের এই দর্শনীয় স্থানগুলো থেকে মুগ্ধ হতে বাধ্য। সঠিক পরিকল্পনা ও ভ্রমণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে ঘুরতে গেলে আপনার সিলেট ভ্রমণ হয়ে উঠবে আরও আনন্দময় ও স্মরণীয়। তাই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সবুজে ঘেরা সিলেটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে!
ফেসবুক: কুহুডাক