বাংলাদেশের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আর ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার অন্যতম দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (Bangladesh Parjatan Corporation)। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক ও উপভোগ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে এই করপোরেশনটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও: মোটরসাইকেল ভ্রমণ
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় এলাকায় নিজস্ব হোটেল ও মোটেল পরিচালনা করে। এগুলো সাধারণত স্বল্পমূল্যে ভ্রমণপিপাসুদের সেবা দিয়ে থাকে। যেমন: কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ময়মনসিংহ, সিলেট, বান্দরবান, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় তাদের মোটেল বা হোটেল রয়েছে।
করপোরেশন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখার জন্য ডে-ট্যুর ও প্যাকেজ ট্যুর আয়োজন করে থাকে। যেমন– সুন্দরবন ট্যুর, সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ, ঐতিহাসিক পুরান ঢাকা ভ্রমণ, পাহাড়ি পর্যটন ইত্যাদি।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করে ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (NHTTI)। এখানে হোটেল ম্যানেজমেন্ট, কুকিং, ফ্রন্ট অফিস, হাউস কিপিংসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যার ফলে পর্যটন খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।
আরও: বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পর্যটন মেলা, প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশকে পর্যটকদের কাছে পরিচিত করে তুলছে করপোরেশনটি।
২. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এই প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে পর্যটনকে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।
৪. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হোটেল ও মোটেল কোথায় কোথায় রয়েছে?
উত্তর: কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, দিনাজপুরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় পর্যটন করপোরেশনের হোটেল ও মোটেল রয়েছে।
৮. করপোরেশনের সেবা নিতে কি বিদেশিরাও আবেদন করতে পারে?
উত্তর: অবশ্যই। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরাও করপোরেশনের হোটেল, ট্যুর ও অন্যান্য সেবা উপভোগ করতে পারেন।
৯. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের স্লোগান কি?
উত্তর: "Smiling Bangladesh" — যা বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণতা ও আতিথেয়তার প্রতিচ্ছবি।
আরও: মোটরসাইকেল ভ্রমণ
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর দিকনির্দেশনায় ১৯৭২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। এটি একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যার লক্ষ্য ছিল দেশের পর্যটন খাতকে পরিকল্পিত ও সুসংগঠিতভাবে বিকাশ করা।করপোরেশনের মূল কার্যক্রম
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের কাজ শুধু পর্যটন প্রচার নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ সহায়তামূলক কাঠামো গড়ে তোলাও এর অন্যতম দায়িত্ব। চলুন দেখে নিই এর মূল কার্যক্রমগুলো কী কী—
পর্যটন হোটেল ও মোটেল পরিচালনা
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় এলাকায় নিজস্ব হোটেল ও মোটেল পরিচালনা করে। এগুলো সাধারণত স্বল্পমূল্যে ভ্রমণপিপাসুদের সেবা দিয়ে থাকে। যেমন: কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ময়মনসিংহ, সিলেট, বান্দরবান, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় তাদের মোটেল বা হোটেল রয়েছে।
ট্যুর ব্যবস্থাপনা ও ট্রাভেল প্যাকেজ
করপোরেশন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখার জন্য ডে-ট্যুর ও প্যাকেজ ট্যুর আয়োজন করে থাকে। যেমন– সুন্দরবন ট্যুর, সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ, ঐতিহাসিক পুরান ঢাকা ভ্রমণ, পাহাড়ি পর্যটন ইত্যাদি।
পর্যটন ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করে ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (NHTTI)। এখানে হোটেল ম্যানেজমেন্ট, কুকিং, ফ্রন্ট অফিস, হাউস কিপিংসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যার ফলে পর্যটন খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।আরও: বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
পর্যটন প্রচার ও উন্নয়ন
বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পর্যটন মেলা, প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশকে পর্যটকদের কাছে পরিচিত করে তুলছে করপোরেশনটি।স্লোগান ও দর্শন
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের স্লোগান হচ্ছে:এই স্লোগানেই ফুটে ওঠে বাংলাদেশের আতিথেয়তার চিত্র—একটি বন্ধুবৎসল, হাস্যোজ্জ্বল এবং আবেগময় জাতি, যে অতিথিকে সম্মান করতে জানে।“Smiling Bangladesh”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ভবিষ্যতে আরও আধুনিক ও ডিজিটাল পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে। যেমন—- অনলাইন বুকিং সিস্টেম উন্নয়ন
- আরও নতুন পর্যটন অঞ্চল চিহ্নিত করে অবকাঠামো নির্মাণ
- ইকো-ট্যুরিজম ও কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমকে উৎসাহ দেওয়া
- আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিং বাড়ানো
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঠিকানা
- প্রধান কার্যালয়: হোটেল আবাসিক ভবন (Parjatan Bhaban), ৮৩-৮৫, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।
- ওয়েবসাইট: www.parjatan.gov.bd
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাস্য
১. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কি?
উত্তর: এটি একটি সরকার-নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান, যার কাজ দেশের পর্যটন শিল্পকে উন্নয়ন, প্রচার ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।২. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এই প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে পর্যটনকে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।
৩. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মূল কাজ কি কি?
উত্তর: হোটেল-মোটেল পরিচালনা, পর্যটন প্যাকেজ পরিচালনা, প্রশিক্ষণ প্রদান, পর্যটন প্রচার এবং পর্যটন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন।৪. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হোটেল ও মোটেল কোথায় কোথায় রয়েছে?
উত্তর: কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, দিনাজপুরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় পর্যটন করপোরেশনের হোটেল ও মোটেল রয়েছে।
৫. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পরিচালিত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নাম কি?
উত্তর: ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (NHTTI), যা হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও পর্যটন সেবার ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে।৬. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কি ট্যুর প্যাকেজ অফার করে?
উত্তর: হ্যাঁ, তারা ডে ট্যুর ও মাল্টি ডে প্যাকেজ অফার করে। যেমন সুন্দরবন, সেন্ট মার্টিন, সোনারগাঁও, সিলেট বা পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ট্যুর অপশন রয়েছে।৭. করপোরেশনের ট্যুরে অংশ নিতে কিভাবে বুকিং করা যায়?
উত্তর: করপোরেশনের ওয়েবসাইট www.parjatan.gov.bd–এ গিয়ে অনলাইন বুকিং করা যায় বা সরাসরি তাদের অফিসে গিয়ে বুকিং দেওয়া যায়।৮. করপোরেশনের সেবা নিতে কি বিদেশিরাও আবেদন করতে পারে?
উত্তর: অবশ্যই। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরাও করপোরেশনের হোটেল, ট্যুর ও অন্যান্য সেবা উপভোগ করতে পারেন।
৯. বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের স্লোগান কি?
উত্তর: "Smiling Bangladesh" — যা বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণতা ও আতিথেয়তার প্রতিচ্ছবি।