বাংলাদেশের ভিসা নীতি

  • বিক্রেতার জন্য: আপনার কি ট্রাভেল এজেন্সি আছে? অথবা আপনি কি ট্রাভেল সেবা (যেমন: এয়ার টিকিট বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ, হোটেল বুকিং, ভিসা প্রসেসিং, ম্যানপাওয়ার ইত্যাদি) প্রদান করেন? তাহলে আপনি আপনার সেবা এখানে বিস্তারিত পোস্ট করুন এবং আপনার সেল বাড়ান কয়েকগুণ। [ বর্তমানে এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে, ফ্রিতে ব্যাবহারকারীরা এই ক্যাটাগরির বিশেষ ব্যাজ পাবেন না। ] (বিশেষ ব্যাজ পেতে এবং আপনার একাউন্ট আপগ্রেড করতে @Arif এর সাথে যোগাযোগ করুন)

Arif

কুহুডাকের প্রতিষ্ঠাতা
স্টাফ মেম্বার
এডমিনিস্ট্রেটর
মডারেটর
ফেব্র 23, 2025
49
10
11
ঢাকা, বাংলাদেশ
www.kuhudak.com
বাংলাদেশে ভ্রমণ বা বসবাস করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিবন্ধে বাংলাদেশ সরকারের ভিসা নীতির সর্বশেষ তথ্য, ভিসার ধরন, প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশের ভিসার ধরনসমূহ​

বাংলাদেশ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে আগত বিদেশিদের জন্য একাধিক প্রকারের ভিসা প্রদান করে। নিচে বিভিন্ন ধরনের ভিসার বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১. পর্যটক ভিসা (Tourist Visa)​

বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য বিদেশি পর্যটকদের এই ভিসা প্রদান করা হয়। এটি সাধারণত ৩ মাসের জন্য দেওয়া হয় এবং একবারে ৬০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।

২. ব্যবসায়িক ভিসা (Business Visa)​

যেসব ব্যক্তি ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশে আসেন, তারা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ভিসাটি সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছর মেয়াদে ইস্যু করা হয় এবং মাল্টিপল এন্ট্রি সুবিধা থাকতে পারে।

৩. শিক্ষার্থী ভিসা (Student Visa)​

বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়। এর মেয়াদ সাধারণত ১ বছর বা কোর্সের মেয়াদের ওপর নির্ভর করে।

৪. কর্মসংস্থান ভিসা (Employment Visa)​

যেসব বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য। এটি সাধারণত ১ বছর মেয়াদে দেওয়া হয় এবং নবায়নের সুযোগ থাকে।

৫. কূটনৈতিক ও সরকারি ভিসা (Diplomatic & Official Visa)​

বাংলাদেশে আগত কূটনৈতিক কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য এই বিশেষ ভিসা ইস্যু করা হয়।

বাংলাদেশের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া​

বাংলাদেশের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বেশ সহজ, তবে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়:

১. অনলাইন আবেদন: বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হয়। 2. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা:
  • পাসপোর্টের স্ক্যান কপি (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ফ্লাইটের বুকিং কপি (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • আমন্ত্রণপত্র বা স্পন্সর লেটার (ব্যবসায়িক/কর্মসংস্থান ভিসার ক্ষেত্রে)
  1. ভিসা ফি প্রদান: নির্দিষ্ট দূতাবাস বা কনস্যুলেটে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হয়।
  2. ইন্টারভিউ: কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ইন্টারভিউ প্রয়োজন হতে পারে।
  3. ভিসা অনুমোদন: আবেদন অনুমোদিত হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্টে ভিসা সিল প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা​

কিছু নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে আসার পর বিমানবন্দরে অন-অ্যারাইভাল ভিসা (Visa on Arrival - VoA) পেতে পারেন। এর শর্তাবলী:
  • পর্যটকদের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ দিনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
  • ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আগতদের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্র ও ব্যবসায়িক প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
  • আগত যাত্রীর কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা থাকতে হবে।

ভিসা নবায়ন প্রক্রিয়া​

যেসব বিদেশি বাংলাদেশে অবস্থানকাল বাড়াতে চান, তারা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভিসা নবায়নের আবেদন করতে পারেন। এটি সাধারণত ৩০ দিন থেকে ১ বছর পর্যন্ত নবায়ন করা যায়।

বাংলাদেশের ভিসা নীতি সময় সময় পরিবর্তিত হতে পারে, তাই ভিসা আবেদন করার আগে বাংলাদেশের দূতাবাস বা সরকারী ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ তথ্য জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নথিপত্র প্রস্তুত থাকলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ হয়। যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অফিস অথবা দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ফেসবুক: কুহুডাক
 

কমিউনিটি ফিড

ডুবাই কামলা ভিসা হচ্চে
আমি হবো ভ্রমণ পাখি!
কুহুডাক ভ্রমণ কমিউনিটি

বাংলাদেশের সেরা ভ্রমণ স্থান কোনটি?

  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

    ভোট: 2 50.0%
  • সুন্দরবন

    ভোট: 0 0.0%
  • সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

    ভোট: 1 25.0%
  • সাজেক ভ্যালি

    ভোট: 1 25.0%
  • পানাম নগর

    ভোট: 0 0.0%
  • জাফলং

    ভোট: 0 0.0%