ভ্রমণ লিপি – বর্ণমালায় বাংলাদেশ। বাঙালি ঘরকুনো – এমন তকমা এঁটে দেওয়ার দিন ফুরিয়েছে বহু আগেই। ফুরসৎ পেলেই বাঙালি এখন ঘর হতে বহু পা ফেলার পরিকল্পনায় মাতে এবং তা শুধু কল্পনাতেই সাজিয়ে না রেখে বাস্তব করে তোলে বিপুলানন্দে।
আরও: বাংলাদেশ ভ্রমণ
পায়ের নিচে সর্ষে নিয়ে বেড়ে উঠা তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই প্রতিনিয়ত সামনে আসছে – বাংলাদেশের অপরূপ রূপ। এই খোলা-বিশ্বের যুগে মুহূর্তে সেই সুন্দর, সেই বিশেষের বার্তা ছড়িয়ে যাচ্ছে সবখানে।
এই আবিষ্কার গণ্ডিবদ্ধ নয় বলেই নতুনের খোঁজ মেলে নিত্য এবং সেই সত্য জেনেই ক্রমশ এডভেঞ্চার- প্রিয় হয়ে ওঠা বাঙালির কাছে রুচি’র উৎসাহ জাগানিয়া বার্তা- এক্সপ্লোর লিমিটলেস!
আমরা বিশ্বাস করি, আবিষ্কারের এই সীমানা মুছে দেওয়া প্রবনতাই একদিন আমাদের সামনে আসীম অর্জনের দ্বার খুলে দিবে। ছেদ পড়বে ছোট-খাটো হয়ে থাকার যন্ত্রণা।
বাংলাদেশ তো আর অর্ধশত সুন্দরের সমষ্টি নয়, তাই পুরো দেশ নয়, এই পোস্টের নজর বর্ণমালায়।
চলুন মূল আলোচনা বর্ণমালায় বাংলাদেশ ভ্রমণ লিপি নিয়ে বিস্তারিত জানি।
আরও: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় স্থান
ভ্রমণ লিপি – বর্ণমালায় বাংলাদেশ
অ – অভয়নগর
অভয়নগর যশোর জেলার একটি প্রাচিন উপজেলা। রাজা নীলকণ্ঠ রায় রাজকন্যার জন্য এখানে এগারো শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
আ – আলুটিলা গুহা
আলুটিলা গুহা খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত। ভু-গর্বস্থ টানেলের মতো দেখতে গুহাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ ফুট যার পাথুরে তলদেশে একটি ঝর্ণা বহমান।
ই – ইনানী সমুদ্র সৈকত
ইনানী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। প্রবাল পাথরের সমারোহে অপূর্ব সুন্দর সমুদ্র সৈকত।
ঈ – ঈসা খাঁ জঙ্গলবাড়ি
ঈশা খাঁ জঙ্গলবাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এখানে প্রকৃতপক্ষে ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল।
উ – উয়ারী
উয়ারী নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলায় এর অবস্থান। প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো দুর্গ নগরী। যার খনন কাজ এখনো চলছে।
ঊ – ঊষাপুর
ঊষাপুর মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত বাজার। এখানকার নির্মল ঠান্ডা বাতাস, সাথে এক কাপ চা যেন বেঁচে থাকার ইচ্ছে বাড়িয়ে দেয়।
ঋ – ঋজু খাল
ঋজু খাল কক্সবাজার থেকে ইনানী যাওয়ার পথে, সাগরের মাছ ধরার নৌকাগুলো সারি সারি সাজানো থাকে এখানে। এই খাল দিয়ে সরাসরি সেন্টমার্টিন যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
এ – এলেঙ্গা
এলেঙ্গা টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার যমুনা তীরবর্তী শহর। সম্প্রতি যমুনা নদীতে এলেঙ্গার কাছাকাছি একটি চর জেগেছে।
ঐ – শৈল প্রপাত
বান্দরবান জেলার চিম্বুক নীলগিরি যাওয়ার পথে শৈলপ্রপাতের সামনে দিয়ে যেতে হয়। সব ঋতুতেই বহমান হিমশীতল পানি হচ্ছে এই ঝর্ণার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
ও – ওয়ার সিমেট্রি
ওয়ার সিমেট্রি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের সমাধি। দু’টি ওয়ার সিমেট্রি আছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাতে।
ঔ – রৌমারী
রৌমারী কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল বলা হতো কারণ একাত্তরে পাক হানাদাররা এ অঞ্চলে আসতে সাহস পায়নি। এখানে মুক্তিযুদ্ধাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হতো।
ক – কেওক্রাডং
কেওক্রাডং বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। অফিসিয়ালি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
খ – খৈয়াছড়া
খৈয়াছড়া চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ের পাহাড়ে অবস্থিত জলপ্রপাত।
গ – গোয়াইনঘাট
গোয়াইনঘাট সিলেট জেলায় অবস্থিত। ভারত সীমান্ত পাথরের রাজ্য। রাতারগুলের প্রবেশপথ।
ঘ – ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘুঘুডাঙ্গা ইউনিয়নে জমিদার বংশের রাজকীয় বাড়ি। ব্রিটিশ শাসনামলে যে ক’জন জমিদার দাপটের সাথে জমিদারী পরিচালনা করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার।
ঙ – রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটি কাপ্তাই লেকের পাশে পাহাড় আর সবুজের সমারোহে গড়ে ওঠা ছিমছাম জেলা শহর রাঙ্গামাটি।
চ – চলনবিল
চলনবিল বিভিন্ন খাল বা জলপাত দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত অনেকগুলি ছোট ছোট বিলের সমষ্টি। বর্ষাকালে এগুলো সব একাকার হয়ে যায় ৩৬৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার অভিন্ন জলরাশিতে পরিণত হয়।
ছ – ছেঁড়া দ্বীপ
ছেঁড়া দ্বীপ বাংলাদেশের মানচিত্রের দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু।
জ – জাফলং
জাফলং প্রকৃতির কন্যা হিসেবে পরিচিত। সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে জাফলং সবার পছন্দ। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ভারতের মেঘালয় সীমান্তের কাছে প্রকৃতির পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং।
ঝ – ঝাঁপা বাঁওড়
ঝাঁপা বাঁওড় প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁওড় ঘিরে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের অবস্থান। রামগঞ্জে ঝাঁপা বাঁওড়ের উপর অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহৎ ভাসমান সেতু।
ঞ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রেল সেতু। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেল সেতু।
ট – টাঙ্গুয়ার হাওর
টাঙ্গুয়ার হাওর শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন ও অবস্থানে মুখরিত হয়। বিলুপ্তপায় প্যালেসেস ঈগল, বৃহদাকার গ্রে-কিংস্টর্ক, শকুনসহ বিপুলসংখ্যক অতিথি পাখি আসে এখানে।
ঠ – ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও উত্তরের সীমান্তবর্তী এলাকা। অতিকায় “সূর্যপুরী আম” গাছ এখানে অবস্থিত। বলা হয়ে থাকে শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীতে এটাই সম্ভবত সব থেকে বড় আম গাছ।
ড – ডিবির হাওর
সিলেটের জৈন্তাপুরে জৈন্তারাজ্যের রাজা রাম সিংহের স্মৃতি বিজড়িত ডিবির হাওর, ইয়াম, হরফকাটা, কেন্দ্রীয় বিল সহ রয়েছে চারটি বিল। বিলগুলোকে কেন্দ্র করেই নাম করা হয়েছে ডিবির হাওর। চারটি বিলের অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে।
ঢ – ঢাকেশ্বরী মন্দির
ঢাকেশ্বরী মন্দির এর ইতিহাস সম্পর্কে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে। ধারণা করা হয় যে, সেন রাজবংশের রাজা বল্লাল সেন দ্বাদশ শতাব্দীতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
ণ – হরিণঘাটা
বরিশাল জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হরিণঘাটা। এখানে সমুদ্রের কোল ঘেঁষে একটি সুন্দর বনভূমি রয়েছে।
ত – তিনাপ সাইতার
তিনাপ সাইতার বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে অবস্থিত। দেশের বৃহৎ জলপ্রপাত।
থ – থানচি
থানচি বান্দরবান জেলার উপজেলা। কথায় আছে থানচি যে দেখে নাই সে বাংলাদেশ দেখে নাই। খুমের (ঝর্না) রাজ্য এই থানচি।
দ – দুধপুকুরিয়া
দুধপুকুরিয়া চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত ও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য।
ধ – ধুপপানি ঝর্ণা
ধুপপানি ঝর্ণা তঞ্চঙ্গা শব্দে ধুপ অর্থ সাদা আর পানিকে পানিই বলা হয় অর্থাৎ সাদা পানির ঝর্না। রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ওড়াছড়িতে এর অবস্থান।
ন – নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার একটি ছোট্ট দ্বীপ। সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে।
প – পুঠিয়া শিবমন্দির
পুঠিয়া শিবমন্দির রাজশাহী বিভাগের পুঠিয়া উপজেলায় অবস্থিত। দেশের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ আছে এই মন্দিরে।
ফ – ফাইসসাখালী
ফাইসসাখালী বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু সড়কপথ ফাইসসাখালী।
ব – বিছানাকান্দি
বিছানাকান্দি খাসিয়া পর্বত থেকে নেমে আসা একটি ঝর্ণা। এখানে হ্রদের সৃষ্টি করেছে যা পিয়াইন নদীর সাথে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। এই নদী থেকেই পাথর সংগ্রহ করা হয়।
ভ – ভৈরব ব্রিজ
ভৈরব ব্রিজ অ্যান্ডারসন সেতু নামেও পরিচিত। মেঘনা নদীর উপর এই সেতুটি অবস্থিত। ১৯৭১ সালে তৎকালীন দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল সেতুটি ডিনামাই দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিল হানাদার বাহিনী।
ম – মারায়ন তং
মারায়ন তং বান্দরবান জেলার পাহাড়ে এর ঠিকানা। ক্যাম্পিংয়ের জন্য সবার প্রিয় এখন এই জায়গা।
য – যাদুকাটা নদী
যাদুকাটা নদী দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে নেমে এসেছে এই নদী। গভীরতা কম থাকায় স্বচ্ছ জলের নিচের বালুকণা পর্যন্ত দেখা যায়। নদীর পাশে বিস্তীর্ণ বালুচর অন্য পাশে সবুজ পাহাড়ের হাতছানি।
র – রাতারগুল
ভ্রমণ লিপি “র”তে, রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য যা সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি। উত্তর সীমান্তবর্তী এলাকা।
ল – লাউয়াছড়া
লাউয়াছড়া বাংলাদেশে অবশিষ্ট চিরহরিৎ বনের একটি উল্লেখযোগ্য নমুনা। এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। উঁচু-নিচু টিলা জুড়ে এ বন বিস্তৃত। জীববৈচিত্রের দিক থেকেও এই উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধতম বনগুলোর একটি।
শ – শালবন বিহার
শালবন বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লা জেলার লালমাই ময়নামতি প্রত্নতত্ত্বের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনা গুলোর একটি এই বৌদ্ধ বিহার।
ষ – ষাট গম্বুজ মসজিদ
বাগেরহাটে ঠাকুর দিঘী নামে তীরে অবস্থিত ষাট গম্বুজ মসজিদ। অন্যতম প্রাচীন মসজিদ কে বর্ণনা করা হয়েছে “ঐতিহাসিক মসজিদ যা মুসলিম বাংলার স্বর্ণযুগের প্রতিনিধিত্ব করে”।
স – সাজেক ভ্যালী
সাজেক ভ্যালী রাঙ্গামাটি জেলার মিজোরাম সীমান্তে বাঘাইছড়ি উপজেলার অবস্থিত বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ।
হ – হাম হাম
হাম হাম বা চিতা ঝর্ণা মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত।
ড় – বুড়িমারী
বুড়িমারী দেশের উত্তর দিকের শেষ প্রান্ত। ৮ নং বুড়িমারী স্থলবন্দর বাংলাদেশের স্থল বন্দর গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থলবন্দর।
ঢ় – রাঢ়ীখাল
রাঢ়ীখাল মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার রাড়িখালে স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর বাড়ি অবস্থিত। বর্তমানে এটি যাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
য় – নয় গম্বুজ মসজিদ
নয় গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত মসজিদ।
ৎ – উষ্ণৎস
উষ্ণৎস গাজীপুর জেলায় অবস্থিত বৃহৎ দিঘী।
ং – সুসং দুর্গাপুর
সুসং দুর্গাপুর নেত্রকোনা জেলার বিরিশিরিতে অবস্থিত। নানা রঙের চিনামাটির পাহাড় আছে এখানে।
ঃ – মাদ্দাখা (রহঃ) মসজিদ
মাদ্দাখা (রহঃ) মসজিদ প্রাকৃতিক শোভায় শোভিত চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিরল কারুকার্যখচিত উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ মসজিদ গুলির অন্যতম।
ঁ – চাচড়া রাজবাড়ী
চাচড়া রাজবাড়ী যশোর জেলায় চাচড়ার রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ। রাজবাড়ীর একটি মাত্র ভবন এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
ট্রাভেলিং যেমন আপনাকে অ্যাডভেঞ্চারের আনন্দ দেয় তেমনি জীবনকে সমৃদ্ধ করে তোলে। নতুনভাবে চিনতে শেখায় নিজেকে ও দেশকে।
নতুন জায়গায় গেলে সেখানকার মানুষের সাথে কথা বললে তাদের চিন্তা, জীবনবোধ, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তাই এখনি ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন… এই ছিল ভ্রমণ লিপি বাংলাদেশ।
আরও: শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্দেশ্য
ফেসবুক: Kuhudak