তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ (Tetulia Jame Masjid) বা খান বাহাদুর সালামতুল্লাহ মসজিদ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ১৮শ শতকে নির্মিত মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। এটি খান বাহাদুর সালামাতুল্লাহ মসজিদ নামেও পরিচিত। আজকের পোস্টে আমরা তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
চলুন শুরু করা যাক…
আরও: সুন্দরবন
খান বাহাদুর সালামতুল্লাহ মসজিদ
ভ্রমণ স্থান | তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ |
ধরন | নিদর্শন, প্রাচীন মসজিদ |
অবস্থান | তেতুলিয়া, তালা, সাতক্ষীরা, খুলনা |
প্রতিষ্ঠাতা | মৌলভী কাজী সালামতুল্লাহ খান |
স্থাপিত | ১৮৫৮-৫৯ সাল (মুঘল শৈলীত) |
অর্থায়নে | জমিদার কাজী পরিবার |
গম্বুজ সংখ্যা | ৬টি |
মিনার | ৪টি |
উপাদানসমূহ | ইট, টেরাকোটা ও টাইল |
ঢাকা থেকে দূরত্ব | ৯১ কিলোমিটার (প্রায়) |
ড্রোন উড়ানো যাবে | হ্যাঁ |
তেঁতুলিয়া মসজিদটি স্থানীয়ভাবে মিয়ার মসজিদ কিংবা তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ নামে পরিচিত হলেও মসজিদটির মূল নাম তেঁতুলিয়া খান বাহাদুর কাজী সালামতউল্লাহ জামে মসজিদ।
ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা
মসজিদের ইতিহাস সম্পর্কে মসজিদের গায়ে প্রাপ্ত শিলালিপি হতে জানা যায় যে, ১২৭০ বঙ্গাব্দে দিকে জমিদার সালামতুল্লাহ খান কলকাতার সিন্দুরে পট্টি মসজিদের নকশার অনুকরণ করে এই মসজিদটি নির্মাণ করে ছিলেন।
আপনি মসজিদ ভ্রমণে গেলে দেখতে পাবেন যে, এখানে প্রবেশের জন্য আছে ৯ ফুট উঁচু এবং ৪ ফুট প্রস্থের ৭টি দরজা। এছাড়া ১২টি পিলারের উপর চুন সুরকি ও চিটাগুড়ের গাথুনিতে নির্মিত মসজিদের ছাদে ৬টি গম্বুজ এবং ৪টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে।
এখানে ভিতরে এবং বাইরে মিলিয়ে ৫০০ মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ থেকে আপনি পায়ে হেটে ১০০ গজ দূরে গেলেই দেখা পাবেন ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ। বর্তমানে তেতুলিয়া মসজিদ ১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।
তবে, সালাম মঞ্জিলের অনেক অংশ এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
আরও: পাগলা মসজিদ
কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে তেঁতুলিয়া জামে মসজিদের দূরত্ব প্রায় ৯১ কিলোমিটার। আপনি ঢাকার গাবতলী, নবীনগর, শ্যামলী, কল্যাণপুর ও সাভার থেকে গোল্ডেন লাইন, একে ট্রাভেলস, গ্রীণলাইন, মামুন এন্টারপ্রাইজ, ঈগল, সোহাগ পরিবহন, সৌদিয়া, সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস এবং শ্যামলী পরিবহনে সাতক্ষীরাগামী বিভিন্ন এসি বা নন-এসি বাসে যেতে পারেন।
ভাড়া: বাসে জনপ্রতি ভাড়া নিতে পারে ৭০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা।
এছাড়া আপনি সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে বাস, রিকশা কিংবা ভ্যানে চড়ে ভ্রমণে যেতে পারেন।
কোথায় খাবেন
সাতক্ষীরা জেলা বরই, আম, ওল, মাছ এবং সুন্দরবনের খাঁটি মধুর জন্য বিখ্যাত। এছাড়া সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরীর সন্দেশের স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন। আশাকরি ভালো লাগবে।
সাতক্ষীরায় খাওয়ার জন্য অনেক ছোট বড় হোটেল পেয়ে যাবেন।
আরও: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবারের তালিকা
কোথায় থাকবেন
একদিনের ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত হলেও সাতক্ষীরায় থাকার জন্য অনেক হোটেল (যেমন: হোটেল সংগ্রাম, হোটেল সম্রাট, হোটেল সীমান্ত, মোজাফফর গার্ডেন, হোটেল মোহনা ইত্যাদি) পেয়ে যাবেন।
আরও: সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
ফেসবুক: Kuhudak