শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (Sreemangal Tour) – মৌলভীবাজার, সিলেট গিয়েছি গত ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে। শ্রীমঙ্গল কে চা এর রাজধানী বলা হয়ে থাকে। আমরা ৩জন গিয়েছিলাম সেই চা এর রাজধানীতে ভ্রমণ করতে। তাই আজকের ভ্রমণে আপনাকে শ্রীমঙ্গল নিয়ে যাব। যেটা সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত।
তো চলুন শুরু করা যাক…
জাফলং ভ্রমণ, সিলেট পড়েছেন কি?
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ – মৌলভীবাজার, সিলেট
একনজরে শ্রীমঙ্গল
ভ্রমণ স্থান | শ্রীমঙ্গল |
অবস্থান | মৌলভীবাজার, সিলেট |
অবস্থিত | বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে |
আয়তন | ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার |
চা-বাগানের আয়তন | ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার |
মোট চা বাগানের সংখ্যা | ৪০টি |
ঢাকা থেকে দূরত্ব | প্রায় ২শত কি.মি. |
শ্রীমঙ্গল দর্শনীয় স্থান সমূহ
- বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট।
- বাংলাদেশ চা বোর্ড প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট।
- ৪০ টি চা বাগান।
- লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
- নির্মাই শিববাড়ী।
- বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি।
- হাইল হাওরে বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম।
- সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা।
- কাছারী বাড়ী। (সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় সংলগ্ন)
- মসজিদুল আউলিয়া
- রমেশ রাম গৌড় এর ৭ কালারের চা
- শ্যামলী পর্যটন
- মাধবপুর লেক
- রাবার বাগান
- আনারস বাগান
- লেবু বাগান
- ভাড়াউড়া লেক
- রাজঘাট লেক
- মাগুরছড়া গ্যাসকূপ
- পান পুঞ্জি
- ওফিং হিল
- বার্নিস টিলার আকাশ ছোয়া সবুজ মেলা
- শ্রীমঙ্গলের এক মাত্র ঝর্ণা ‘‘যজ্ঞ কুন্ডের ধারা’’
- শতবর্ষের স্মৃতি বিজড়িত শ্রীমঙ্গলে ডিনস্টন সিমেট্রি
- মসজিদুল আউলিয়া
- টি রিসোর্ট
- আরোগ্য কুঞ্জ
- হরিণছড়া গলফ কোর্ট
- ডলু বাড়ি টিপরা পল্লী
- উচু-নিচু পাহাড়
শ্রীমঙ্গল মানচিত্র
নিচে শ্রীমঙ্গলের মানচিত্র দেয়া হল:
শ্রীমঙ্গল এর ইতিহাস
এখানে সংক্ষেপে শ্রীমঙ্গল এর ইতিহাস তুলে ধরা হল:
শ্রীমঙ্গলের নাম করন নিয়ে সঠিক কোন তথ্য নেই। তবে, কথিত আছে শ্রী দাশ ও মঙ্গল দাশ নামে দু’জন লোক হাইল হাওর এর তীরে প্রথমে বসতি স্থাপন করেন। এ দু’ভাইয়ের নামানুসারে শ্রীমঙ্গল নামকরণ করা হয়।
আরো কথিত আছে শ্রীমঙ্গল শহরের অদুরে মঙ্গল চন্ডী দেবতার একটি থলি ছিল। তাঁর নামানুসারে শ্রীমঙ্গল নামকরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: জল্লাদখানা বধ্যভূমি ভ্রমণ – মিরপুর, ঢাকা
ভ্রমণের প্রস্তুতি
২০১০ সালে আমি প্রথম শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে গিয়েছিলাম। তখন হোসেন ভাই (আমার মেঝো ভাই) শ্রীমঙ্গল নিয়ে গিয়েছিল। এরপর আর শ্রীমঙ্গল যাওয়া হয় নি।
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্ল্যান ছিল গ্রামের বাড়ি যাব। কিন্তু ইন্টারনেটে হঠাৎ একটি লেখা পেলাম ১ দিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ।
লেখাটা বিস্তারিত পড়লাম। সেই ২০১০ সালে গিয়েছি। এখন ২০১৯, অনেক কিছু ভুলে গিয়েছি। যাইহোক, মনে মনে ভ্রমণের প্রতি একটা আগ্রহ জেগে উঠল।
প্রথমে আমার চিরাচরিত নিয়ম অনুসারে একা ভ্রমণের প্ল্যান করলাম। পরক্ষনে ফ্রেন্ড জাবেদ এর সাথে কথা বলায় ও যেতে রাজি হল। কিন্তু কিছুক্ষন পর ফোন করে জানালো ওর অফিস ছুটি নেই যেতে পারবে না।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি তে অধ্যয়নরত আমার এক ছোট ভাই মোহাইমিনুল ইসলাম, যার সাথে কুমিল্লাতে পরিচয়। ও অনেকদিন ধরেই আমার সাথে ভ্রমণে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছিল।
আমি যখন শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম ঠিক তখনি কাকতালীয় ভাবে ও আমাকে ফেসবুকে নক করে ভ্রমণের কথা বলল। আমি শ্রীমঙ্গল যাওয়ার কথা বলাতে ও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলো আমার সাথে ভ্রমণে যাওয়ার জন্য।
প্ল্যান হল ৩১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে। আমরা রাতে রওনা দিব। ট্রেনের টিকিট কাটা জামেলার তাই বাসে যাওয়ার প্ল্যান হল।
ভ্রমনের দিন
ভ্রমণের দিন বা ভ্রমণের সময় বলতে পারেন কারন, ভ্রমণের প্ল্যান হয়েছে দুপুরে আর, যাত্রা শুরু করেছি সন্ধ্যায়।
ঘড়িতে সময় প্রায় দুপুর ৩টা। আমি তখনও লাঞ্চ করিনি গোসল ও করা হয়নি। সহজ.কম থেকে এনা পরিবহণ এর ২টা টিকিট নিলাম। টিকিট এর দাম ৪০০ করে হলেও সহজ আমাদের কাছ থেক প্রতি টিকিট ৪৪৩ টাকা করে নিল। F1, F2 ২টা সিট পেলাম। সামনের গুলো সব ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গিয়েছে।
মোহাইমিনুল বাড্ডায় থাকে। ও ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বিকেলের ভিতর আমার বাসায় চলে আসল। আমি ইতিমধ্যে ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিয়েছি। এখন গোসল আর খাওয়াদাওয়ার পালা।
আমাদের বাস মহাখালী থেকে রাত ১১ঃ৩৫ এ ছাড়বে। শ্রীমঙ্গল পৌছবে ভোর প্রায় ৫টার দিকে।
আমরা রাতের খাবার বাহিরে হোটেলে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যেহেতু আমরা বাহিরে খাব এবং মিরপুর থেকে মহাখলি যেতে হবে বাসে উঠার জন্য তাই জ্যাম এর কথা চিন্তা করে রাত ৯টার দিকে বের হওয়ার প্ল্যান করলাম।
আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষন আগে জাবেদ ফোন করে জানাল যে ও অফিস ম্যানেজ করেছে এখন আমাদের সাথে যেতে চায়।
আমি সাথে সাথে কম্পিউটার ওপেন করে সহজ.কম থেকে আরেকটি টিকিট সংগ্রহ করলাম। তবে চিন্তার বিষয় ছিল আমাদের বাসে সিট ফাকা আছে তো বা যদি সিট থাকেই তবে সেটা কোন দিকে। যাক, ভাগ্যক্রমে জাবেদ G1 সিট পেয়েছে।
আরও: দিয়াবাড়ি ভ্রমণ – উত্তরা, ঢাকা
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ
এখানে বলতে ভুলে গিয়েছি যে, মোহাইমিনুল আমার বাসায় আসার পর আমাদের প্ল্যান হয়েছি শ্রীমঙ্গল থেকে আমরা হযরত শাহজালাল এবং শাহপরান (রাঃ) এর মাজার হয়ে জাফলং যাব।
জাবেদ নয়াপল্টন অফিস থেকে আমাদের আগেই মহাখালী বাস স্ট্যান্ড চলে এসেছে। আমাদের আসতে একটু দেরি হয়েছে। তবে, আমারা সবাই ঠিক সময়েই পৌছেছি।
রাত ১০ঃ৫৫ মিনিট। আমরা বাসের জন্য ওয়েটিং রুমে বসে আছি। সহজ আসলেই টিকিট এর সিস্টেম টা সহজ করেছে। আমরা বাস কাউন্টারে সহজ থেকে টিকিট সংগ্রহের কথা বলাতে কাউন্টার থেকে আমাদের বললেন, কোন টিকিট লাগবে না আপনারা শুধু মোবাইলের ম্যাসেজ টি দেখালেই হবে।
সহজ না?
এই প্রথম জাবেদ এবং মোহাইমিনুল শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে যাচ্ছে। আর আমার ২য় বার।
ঘড়িতে সময় রাত ১১ঃ৩৫ মিনিট। আমার মোবাইলে একটা কল আসল। এনা পরিবহণ থেকে বলছি, এই নাম্বারে ৩টি টিকিট কাটা হয়েছে। আমাদের বাস রেডি। আপনারা কোথায়?
আমি বললাম, আমরা কাউন্টারের কাছেই। পরক্ষনে একজন এসে আমাদের বাসের দিকে নিয়ে গেলো। আমারা বাসে উঠলাম।
বাসে করে ঢাকা টু শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ
আমরা বাসে উঠার আগে পানি নিয়ে নিয়েছি। সাথে কিছু শুঁকন খাবার। তবে ভ্রমণে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন সব সময় – ভ্রমণের পূর্বে ওয়াস্রুমের যাবতীয় কাজ সেরে নিতে ভুলবেন না। তানাহলে, আপনার ভ্রমণ নিরানন্দ হতে দেরি হবে না। কেচকি মেরে ভ্রমণের আনন্দ কি আর উপভোগ করা যায় বলেন!
বাসে এক এক করে বাসের সকল যাত্রী উঠে বসল। আমাদের বাস ছাড়ল ১১ঃ৪৫ মিনিটে। গন্তব শ্রীমঙ্গল।
বাস শাঁ শাঁ করে এগিয়ে চলেছে। এনা পরিবহন এর বাস গুলো একটু বেশিই জোরে চলে মনে হয়। ঢাকাতে খুব একটা বেশী শীত নেই। কিন্তু মেঝো ভাই বলে দিয়েছেন শ্রীমঙ্গলে অনেক শীত পড়বে। তাই আমি যেন শীতের পোশাক নিয়ে যাই। আমি নিয়েছিও তাই।
গত রাতে ঘুমাইনি! তারপর সারাদিনও ঘুমাইনি। বাসে উঠেই বলেদিয়েছি। আমাকে কেউ যেন বিরক্ত না করে। আমি ঘুমাব। তা নাহলে পরের দিন ভ্রমণ উপভোগ করতে পারব না ঠিক মত। ওরা করেছেও তাই। কেউ ডিস্টার্ব করেনি।
বাস এগিয়ে চলছে, আমি ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু ঘুম তো আসছে না। আমাদের বাস হাইওয়ে ইন্ লিমিটেড – আন্দিউড়া, মাধবপুর, হবিগঞ্জ এসে ২০ মিনিট এর বিরতি দিল। আমার একফোঁটাও ঘুম হয় নি।
আমরা বাস থেকে নেমে রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম। তারপর বাহিরে কিছুটা হাটাহটি করলাম। এখানে সত্যি অনেক শীত। তবে হাড় কাপানো নয়। আমরা বাসে উঠলাম। আমাদের বাস আবার চলতে থাকল শ্রীমঙ্গল এর দিকে।
শ্রীমঙ্গল
ভোর ৫টার দিকে আমাদের বাস চৌমুহনা, শ্রীমঙ্গল এসে থামল। বিরতির পর আমার কিছুটা ঘুম হয়েছে।
আমরা বাস থেকে নামলাম। এখানে বেশ শীত। হাড়কাপানোর মতই অনেকটা। কুয়াশাও রয়েছে কিছুটা। আশেপাশে ২/৩ টা খাবারের হোটেল ছাড়া বাকি সব দোকানে তালা ঝুলছে।
আমরা একটা হোটেলে ঢুকলাম। আরও অনেকে হোটেলে ঢুকছে। আমরা চা পান করে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসলাম। কিছুক্ষন পর পর একটা করে বাস এসে থামছে আর যাত্রীরা বাস থেকে নামছে।
রাস্তার পাশে অনেকগুলো সিএনজি রয়েছে। আমরা একটা সিএনজির পাশে দাড়াতেই একজনে সিএনজি ড্রাইভার আমাদের দিকে এগিয়ে এসে কোথায় যাব জিজ্ঞেস করল।
যদিও আমরা প্ল্যান করে এসেছি কিভাবে ঘুরব, তারপরও মামাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় কোথায় ঘুরব এবং কিভাবে? সিএনজি মামাটা খুব ভালো ছিল। তিনি আমাদের বিস্তারিত বললেন।
যেহেতু আমারা সারাদিন ঘুরব তাই তিনি আমাদের সিএনজি রিজার্ভ করার কথা বললেন। আমাদের কাছে এটাই ভালো মনে হল। দর কষাকষি করে ১০০০ টাকায় সারাদিন ঘুরার সিদ্ধান্ত হল।
প্রথমে আমরা যাব মাধবপুর টি স্টেট এবং মাধবপুর লেক। কারন এটা একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থিত। সেখান থেকে ধিরে ধিরে আমরা বাকি দর্শনীয় স্থান যেমনঃ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, লেমন গার্ডেন ইত্যাদি হয়ে শহরে চলে আসব।
আরও: সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর ভ্রমণ – নারায়ণগঞ্জ
মাধবপুর টি স্টেট ভ্রমণ
ভোর ৫ঃ৪০ মিনিট। চারদিকে অন্ধকার। আমরা মাধবপুর টি স্টেট রওনা দিব ৬টার দিকে।
চৌমুহনা থেকে মাধবপুর টি স্টেট সিএনজি তে প্রায় ১ ঘন্টার পথ। আমাদের সিএনজি সকাল ৬ঃ৫মিনিটে মাধবপুর টি স্টেট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিল। আমারা সিএনজিতে বসে দুই পাশের পর্দা টেনে ধরে রেখেছি। একেতো প্রচন্ড শীত তারউপর আবার বতাস! অবস্থা খুবই খারাপ।
সিএনজি আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগিয়ে চলছে। কিছুদুর যেতেই শীত এর মাত্রা যেন আরও বেড়ে গেল। সাথে কুয়াশার পরিমাণও। আমাদের সিএনজি এবার ধিরে চলতে লাগল।
হরিণ এর সাথে দেখা
চারপাশ কিছুটা আলোকিত হয়েছে। আগের তুলনায় এখন রাস্তার দুপাশ দেখা যাচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে দুই পাশে উচু পাহাড়ের দেখা মিলছে। আবার ক্ষণে ক্ষণে চা গাছের দেখা মিলছে।
মাঝে মাঝে সাই করে ১ টা ২টা সিএনজি বা ট্রাক আমাদের পাশ কেটে চলে যাচ্ছে।
আমাদের সিএনজি একটা উচু পাহাড় থেকে নামছে, ঠিক তখনি একটা হরিণ রাস্তার একপাশ থেকে আরেক পাশে দ্রুত লাফিয়ে চলে গেল।
সিএনজি মামা মাদের বললেন, এসব হরিণ খুব একটা দেখা যায় না। এগুলো কোন পালা হরিণ না। সাথে তিনি এটাও বললেন যে, এখানে নাকি বন মুরগী সহ অনেক বন্য প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়। আমাদের ভাগ্য ভালো তাই নাকি আমারা হরিণ দেখেছি।
মাধবপুর টি স্টেট
প্রায় ১ঘন্টার উপরে চলার পর আমাদের সিএনজি মাধবপুর টি স্টেট এর প্রধান গেইটে এসে থামল। মেইন গেইট বন্ধ।
একটু পর একজন এসে আমাদের জানালেন সকাল ৯টায় গেইট খুলবে। তো এতক্ষণ কি করব! মামাকে পাঠালাম কোন উপায় আছে কিনা দেখার জন্য।
একটু পর চাবি হাতে গেইটম্যান এসে বলল গেইট খুলে দিবে কিন্তু তাকে বকশিস দিতে হবে। সিএনজি মামা তার কাছ থেকে ২০টাকা দিতে চাইলেন, কিন্তু গেইটম্যান এতো কম টাকা নিবে না। ওনি রেগে চলে গেলেন।
যাওয়ার সময় বলে গেলেন, আপনি জানতাইনি… আমার ডিমান্ড খত?? এই বলে সে ফোসফাস করতে করতে চলে গেল।
আমারা মামার হাতে ৫০টাকা দিয়ে বললাম, এটা দিয়ে দেখেন ম্যানেজ হয় কিনা। না হলে ছ্রেসরায়া নিয়ে আসব গিয়ে।
যাক ওনার কপাল ভালো যে তিনি এসে গেট খুলে দিলেন। আমাদের সিএনজি মাধবপুর টি স্টেট এর ভিতরে এগিয়ে চলল।
কিছুদূর আশার পর ন্যাশনাল টি বিক্রয় কেন্দ্র এসে আমাদের সিএনজি থামল। আমারা সিএনজি থেকে নেমে ভিতরের দিকে হাটতে থাকলাম। চারদিক নিস্তব্দ। দুই একটা পাখির ডাক ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। মাধবপুর টি স্টেট এর ১লা ফেব্রুয়ারির প্রথম পর্যটক দল আমরা।
মাধবপুর টি স্টেট এর ভিরের রাস্তাগুলো সম্পূর্ণ পিচ ঢালা। রাস্তার দুই পাশে চা গাছ এর সারি। কিছুদূর এগুতেই চোখে পরল ছোট ছোট চা গাছের চারা। আবার কিছু চা গাছ কুছুদিন হয় কেটেছে মনে হচ্ছে। গাছে কোন পাতা নেই।
মামাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, বৃষ্টি হলেই এখান থেকে নতুন পাতা গজাবে।
আমরা হেটে সামনে এগুতেই প্রথম মাধবপুর লেক এর দেখা পেলাম। মাধবপুর লেক ভ্রমণ নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
আমরা মাধবপুর লেক এর পাড় দিয়ে এগুতেই সামনে বিশাল এর পাহাড়ের দেখা পেলাম। মামা আমাদের বললেন, আমি নিচে অপেক্ষা করছি… আপনারা ঘুরে দেখেন।
ইতিমধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য উঁকি দিয়েছে। আমরা পাহাড়ের উপরের দিকে উঠতে লাগলাম। পাহাড়ের ঢালুতে এতো চমৎকার চা বাগান। অসাধারণ লাগছিল দেখতে। আমরা হেটে হেটে চারদিক টা দেখছিলাম, আর ছবি তুলছিলাম।
মাধবপুর টি স্টেট এর সৌন্দর্য
মাধবপুর টি স্টেট এর সৌন্দর্য এক কথায় অসাধারণ। যেই দেখবে সেই মুগ্ধ হতে বাধ্য। সিলেট শ্রীমঙ্গল প্রধানত এই চা এর জন্যই বিখ্যাত।
চা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে আঁকাবাঁকা কাচা রাস্তা। আমরা সে পথ দিয়েই হেটে চলছিলাম। পাহাড়ের উপর থেকে মাধবপুর লেক পরিষ্কার ভাবে দেখা যাচ্ছিল।
আমাদের ভ্রমণের সময় ৩/৪টা কুকুর আমাদের সাথে সবসময় ছিল। আমারা যেখানে গিয়েছি, এগুলোও সেখানে গিয়েছে। প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কামড় দেবে নাতো? পরে দেখলাম, এগুলো খুবই ভদ্র। উচ্চ বংশের কুকুর!
প্রায় ৩ঘন্টা মাধবপুর টি স্টেটে কাটানোর পর আমরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বের হওয়ার আগে অবশ্য চা পাতা কিনে নিয়েছি।
তবে এখানে মজার বিষয় হলঃ এই চা বাগানে যে শ্রমিকরা কাজ করে তাদের সাথে কথা হল আমাদের। তারা সকাল ১০টা থেকে চা বাগনে কাজ শুরু করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করে। ইন্টারেস্টিং বিষয় এখানে যে, তাদের প্রতিদিন এর মুজুরি ১০২ টাকা!
আমি প্রথমে শুনে ভেবেছিলাম তারা মজা করছে। কিন্তু না, সবাই একই কথা বলছে… তাদের বেতন ১০২ টাকা। কেন এই ২টাকা সেটা তারা বলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: তাজমহল সোনারগাঁও ভ্রমণ
ভানুগাছ বাজার
আমরা ভানুগাছ বাজারে এসে নাস্তা করার জন্য সিএনজি থেকে নামলাম। মাধবপুর টি স্টেট থেকে ভানুগাছ বাজার আসার পথে আমাদের সিএনজি এর চাকা লিক হয়ে গিয়েছে।
ভানুগাছ বাজারে নেমে মামাকে নিয়ে প্রথমে নাস্তা করে নিলাম। এরপর মামা সিএনজি এর চাকা ঠিক করার জন্য পাশের একটি দোকানে ঢুকলেন। আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম।
২০মিনিট পর মামা সিএনজি নিয়ে আসলেন। আমরা সিএনজি চেপে বসলাম। উদ্দেশ্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
অনেক উচু নিচু পাহাড় পাড়ি দিয়ে আমারা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এসে নামলাম। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ ফি জন প্রতি ৫০টাকা। আবার সিএনজি রাখায় তার জন্য আলাদা ৩০টা দিতে হয়েছে।
আমরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান নিয়ে আরও বিস্তারিত দেখুন এখানে।
প্রায় ১ঃ৩০ মিনিট ঘুরাঘুরির পর যখনি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বের হতে যাব, ঠিক তখনই একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল।
জাবেদ এর দুই পায়ে একটি বানর কামড়ে দিল! বেশি জখম হয়েছে বা পায়ে। প্রায় মাংস তুলে নেয়ার মত অবস্থা।
আমরা তারাতারি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বের হয়ে সিএনজি করে শ্রীমঙ্গল সদর হাসপাতাল চলে আসলাম।
এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে আক্রান্ত স্থানে পানি ঢেলে পরিষ্কার করে নিতে বললেন। পরে তিনি একটি প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেন এবং বললেন, এখানে ৫টা ইঞ্জেকশন, কিছু ঔষধ এবং একটি আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করার জন্য একটি ক্রিম দেয়া হয়েছে।
আমারা যেন ১২ ঘন্টার ভিতরে ১ম ইনজেকশনটা নিয়ে নেই। বাকি গুলো কিভাবে কত দিন পড়ে দিতে হবে তিনি বলে দিলেন।
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এসে আমারা একটা ফার্মেসীতে ঢুকলাম। ১ম
ইঞ্জেকশন, ঔষধ এবং ক্রিম নিলাম।
আমি তখনই ভ্রমণ বাতিল করে ঢাকা ফিরে আশার কথা বললাম। কিন্তু জাবেদ রাজি হচ্ছিল না। বলল, আমি ভালো ফিল করছি। কোন সমস্যা নেই।
উদ্ভট জায়গায় ভ্রমণ এবং আজাইরা টিকিট সংগ্রহ করা
সিএনজি মামা বললেন আমরা যেহেতু লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যাণের রাস্তা থেকে ফিরে এসেছি তো আমরা আবার সেখানে যাব না। আমি আপনাদের খুব সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাব।
প্রায় ৪৫মিনিট গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে আমাদের সিএনজি চলার পর একটা বাড়ির দিকে এগিয়ে চলল। বাড়ির এক কিনারায় এসে আমাদের সিএনজি থামল।
সিএনজি থেকে নামতেই প্রথমে চোখে পরল কয়েক ধরনের পাখির খাঁচা, বিদেশি জাতের মুরগির খাঁচা, গরুর খামার তার পাশেই বেশ বড় ফিসারী। বুঝাই যাচ্ছিল এটা একটা ব্যক্তিগত খামার।
মামা বললেন এগুলো দেখেন। এছাড়া আর কি আছে দেখার। মামা বলতে যাবে, ঠিক তখনই পিছন থেকে ১৫/১৬ বছরের একটি মেয়ে এসে বলল আপনারা টিকিট কাইট্টা আসেন নাই?
কিসের টিকেট?!
মেয়েটি বলল, এখানে ঢুকতে টিকিট লাগে। এই কথা শুনার পরতো সিএনজি মামার উপর যা রাগ লাগছিল। এই সব গরুর খামার দেখতে আমারা এখানে এসেছি!!
যাই হোক মামাও জানতেন না এখানে যে ঢুকতে টিকিট লাগে। আমরা সাথে সাথে বের হয়ে গেলাম। কিন্তু গেইট এর কাছে একজন দাড়িওয়ালা মুরুব্বী হাসি হাসি মুখ করে দাড়িয়ে আছেন।
কাছে আসতেই, আমাদের সিএনজি থামাতে বললেন, আমরা সিএনজি থামালাম। মুরুব্বী বললেন, ভিতরে গেছেন আপনাগো টিকিট কই? আমারা বললাম আমরা তো জানি না যে টিকিট নিতে হয়। তাহলেত নিয়ে ই যেতাম। তাছাড়া ভিতরে দেখার মত তো কিছুই নেই। জানলে আমরা ভিতরেই যেতাম না। শুধু শুধু অনেক দূর থেকে আসলাম।
কিন্তু মুরুব্বী নাছোড় বান্দা, বললেন… ভিতরে যেহেতু গেছেনই টাকা দিতেই হবে আপনাদের। রিতিমত মগের মুল্লুক এর মত অবস্থা। তাকে কোন ভাবে বুজানো গেলো না।
আমাদের কাছে টিকিট এর দামটা বেশী ছিল না, কিন্তু তার আচরণে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। টাকা দিয়ে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে এলাম।
ফিনলে টি গার্ডেন
মামা এরপর আমাদের ফিনলে টি গার্ডেন নিয়ে গেলেন। এখানে আশার পর আমরা শ্রীমঙ্গল এর আসল মজা পেলাম। চারপাশে শুধু শুধু চা এর বাগান। আপনি যে দিকে তাকাবেন সে দিকেই চা বাগান। ভালো লাগছিল খুব।
৭ কালার চা
এরপর আমরা চলে আসলাম ৭ কালার চা পান করার জন্য। শ্রীমঙ্গল এসেছি আর ৭ কালার চা পান করবনা এটা কি হয়।
৭ কালার চা এর এক এক লেয়ার এর মূল্য ১০ টাকা করে। ৭x১০=৭০ টাকা। আপনি যত লেয়ার চান তারা আপনাকে তত লেয়ার এর চা ই দিবে। তবে সে জন্য আপনাকে ১৫ মিনিট সময় দিতে হবে তাদের।
শ্রীমঙ্গল কে বিদায়
সারাদিন ভালমন্দ সময় কাটিয়ে বিকেলে শ্রীমঙ্গল কে বিদায় জানানোর সময় হয়ে আসল। ৭ কালার চা পান করা শেষে আমরা সরাসরি শ্রীমঙ্গল শহরে চলে আসলাম। শহরে এসে একটা হোটেলে ঢুকে দুপুরের লাঞ্চ করে নিলাম।
এরপর এনা পরিবহণ এর বাসের টিকিট কেটে বাসের জন্য অনেপেক্ষা করতে থাকলাম। বাস আসল বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট এর দিকে। আমরা বাসে উঠে বসলাম।
বাসের সিটে বসার সাথে সাথে সারাদিন এর ক্লান্তি আমাকে ঘিরে ধরল। আমি ধিরে ধিরে ঘুমের রাজ্যে চলে গেলাম।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভ্রমণ সাভার, ঢাকা
উপসংহার
হুট করে প্ল্যান করা তারপর শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ এ ছুটে যাওয়া। এরপর ভ্রমণ উপভোগ করা, ক্লান্তি বোধ করা এ সব কিছু মিলিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ টা ভালই কেটেছে।
সবশেষে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ নিয়ে আমার কিছু মতামত দিচ্ছি
১। শ্রীমঙ্গল খুবই সুন্দর জায়গা।
২। এখানের প্রায় সবাই ভালো মন মানসিকতার।
৩। পাহাড়ে উঠার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
৪। সিএনজি নেয়ার আগে ভাড়া ঠিক করে নিবেন।
৫। যদি আপনি খুব ভোরে গিয়ে শ্রীমঙ্গল পৌছান তাহলে সাথে সাথেই ভ্রমণে যাওয়া ঠিক হবে না আপনার। সকাল হওয়ার জন্য সময় দিন। বলাতো যায় না এই গহীন জঙ্গলে কারা আপনার জন্য অনেক্ষা করছে।
৬। ভ্রমণে সবাই একসাথে কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন।
৭। বেশী গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করবেন না।
৮। বন্য প্রাণী হতে সাবধান।
৯। বানর হতে তো অবশ্যই সাবধান।
১০। কোথায় কোথায় ভ্রমণে যাবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন।
১১। শ্রীমঙ্গল আসলে শীতের কাপড় নিয়ে আসতে ভুলবেন না।
ভ্রমণ জিজ্ঞাসা
একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করা যাবে?
হ্যাঁ। আপনি একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে একদিনে ভ্রমণ করার ব্যাপারটা নির্ভর করে আপনি কত দূর থেকে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে আসবেন। আমি ঢাকা থেকে একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করেছি।
একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে কত টাকা খরচ হতে পারে?
একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে কত খরচ হবে তা নির্ভর করে আপনি কোথা থেকে এবং কীভাবে ভ্রমণে আসবেন সেটার উপর। আমার ঢাকা-শ্রীমঙ্গল-ঢাকা বাস ভ্রমণে খরচ হয়েছে ১৩৫০ টাকার মত।
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ টিপস আছে কি?
হ্যাঁ আছে। শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে অনেকেই টিপস খুঁজেন। পোস্ট এর একেবারে নিচে দেখুন শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ টিপস রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল ঘুরার সেরা জায়গা কোনটি?
আমার দেখা শ্রীমঙ্গল ঘুরার সেরা জায়গা হল, ফিনলে টি-গার্ডেন। এছাড়া লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, লেবু বাগান ইত্যাদি।
শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত কি?
শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত ৭ কালার চা। ভ্রমণে গেলে অবশ্যই ৭ কালার চা পান করতে ভুলবেন না।
পরিশেষে
কোন ভ্রমণই আমার শেষ হয়ে শেষ হয় না। বারংবার আমার সেই স্থানে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। কারন, আমি যে প্রকৃতি ভালবাসি। প্রকৃতিও আমায় ভালবাসে।
আজ আপাতত বিদায়।
ফেসবুক: Kuhudak
ami kokhono jai nai.kintu jawar khub isccha .apnar blogta pore onek upkrito holam .insaallah khub taratari jabo
ইনশা আল্লাহ্। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Nice post
thanks
সুন্দর জায়গা। আমি অনেকবার গিয়েছি। শ্রীমঙ্গল এর মানুষ খুবই ভালো। কখনো তেমন কোন বিপদ এর সম্মুখীন হইনি।
ফিনলে টি গার্ডেন এর ঐ পাশটা চমৎকার ? দেখলেই চোখ জুড়িয়ে জায় ???
আর ভিডিও টা জুস ছিল ভাই ??
বাই দা ওয়ে: আমি আপনার সাইট নিয়মিত ফলো করি। ভ্রমন নিয়ে বাংলাতে খুব কম সাইট রয়েছে দেখলাম।
আশাকরি আপনি নিয়মিত লিখে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা আরিফ ভাই।
ভালোবাসা অবিরাম ❤
আমার কাছেও “ফিনলে টি গার্ডেন” টা ভালো লেগেছে। দু-চোখ যে দিকে যায় শুধু সারি সারি চা গাছ আর চা গাছ। উচু নিচু মিলিয়ে বেশ একটা ঢেউ এর মত… অসাধারণ লেগেছে।
আমি এখনও ভিডিও বানানো ঠিক মত শুরু করিনি। তবে ভ্রমণে গেলে ২/১ মিনিট এর এটা ভিডিও করতে ইচ্ছে করে। সে জন্যই করা।
সাইটে নিয়মিত আসার জন্য ধন্যবাদ। তবে ভ্রমণ নিয়ে বেশিদিন হয় নি লিখছি। চেষ্টা করি ঘুছিয়ে লেখার বাট সেটা কেমন হয় তা আপনারা ভালো বলতে পারবেন।
সামনেও নিয়মিত আসার চেষ্টা করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আমি কিছুদিন পর সিলেট ভ্রমণ করতে যাব। তোমার চশমা পরা ছবিটা সুন্দর হয়েছে।
আরিফ ভাইয়া তুমি কি সবসময় ঘুরতে যাও??
ধন্যবাদ আদনান রাফি ভাই। সময় পেলেই ঘুরতে বের হই। কারন, আমি প্রকৃতি ভালবাসি।
Vai apnara srimangol Kon month e giye cilen?
ফেব্রুয়ারি মাসে।