ভ্রমণ সাহিত্য একটি বিশেষ সাহিত্য শাখা, যা লেখকের বিভিন্ন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, পর্যটন স্থান, মানুষের জীবনধারা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রকৃতির বর্ণনা দিয়ে গঠিত। এই সাহিত্য শাখার মাধ্যমে একজন লেখক নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাঠকের কাছে তুলে ধরেন, যেন পাঠকও সেই স্থানগুলোয় পৌঁছে যায় বা ভ্রমণে যায় এবং তার অনুভূতিগুলো অনুভব করতে পারে।
ভ্রমণ সাহিত্য লেখার মূল উদ্দেশ্য কেবল একটি স্থান বা দেশের ভূগোল বর্ণনা করা নয়, বরং সেই স্থান বা সংস্কৃতির সঙ্গে লেখকের সম্পর্ক, তার মনোভাব ও অভিজ্ঞতাগুলোও তুলে ধরা। এটি পাঠকদের জন্য নতুন পৃথিবী, নতুন সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ভিন্ন জীবনধারা সম্পর্কে জানার একটি দারুণ সুযোগ।
ভ্রমণ সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য
১. আবেগপূর্ণ বর্ণনা: লেখক সাধারণত তার অভিজ্ঞতাগুলি আবেগপূর্ণভাবে বর্ণনা করেন। এটি ভ্রমণের আনন্দ, কষ্ট, অবাক করা ঘটনা, কিংবা নতুন কিছু শেখার মুহূর্তকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে।
২. সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচিতি: ভ্রমণ সাহিত্য স্থান-কাল পেরিয়ে মানুষের জীবনের জটিলতা এবং সেই অঞ্চলের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, আচার-অনুষ্ঠানগুলোকে তুলে ধরে।
৩. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: প্রাকৃতিক দৃশ্য, পাহাড়, সমুদ্র, বনভূমি ইত্যাদির বর্ণনা ভ্রমণ সাহিত্যের অন্যতম প্রধান উপাদান।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা: ভ্রমণের মাধ্যমে লেখক নতুন নতুন জায়গা, জনগণ এবং চিন্তা-ধারণার সঙ্গে পরিচিত হন, যা সাহিত্যিক রচনায় স্থান পায়।
আরও: ভ্রমণে পরিবেশ রক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ
ভ্রমণ সাহিত্য এমন একটি মাধ্যম, যা কেবল তথ্য প্রদান করে না, বরং পাঠককে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখার সুযোগ দেয়। আমি এখানে উদাহরণ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “রুমালী কাঁথা” এবং আলতাফ হোসেনের “পথের পিপাসা” ভ্রমণ সাহিত্যের এক অনবদ্য উদাহরণ।
ফেসবুক: কুহুডাক