মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড (ইংরেজি: Mohanpur Parjatan LTD.) বা, মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র – মতলব উত্তর, চাঁদপুর থেকে ভ্রমণ করে আসলাম। এই স্থানটি মিনি কক্সবাজার মোহনপুর নামেও পরিচিত।
এখানে সবচেয়ে চমৎকার দৃশ্য হল, আপনি নদীর পাড়ে দাড়িয়ে সূর্যাস্ত (Sunset) দেখতে পাবেন!
আজকের ভ্রমণে আমি মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড নিয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব। দর্শনীয় স্থান হিসেবে কেমন, দেখার মত কি কি আছে, কত টাকা প্রবেশ ফি, কিভাবে যাবেন, ভ্রমণ টিপস -এ সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত থাকছে।
মোহনপুর ভ্রমনে রয়েছি আমি আরিফ হোসেন (কুহুডাক) এবং আমার সাথে রয়েছে নাদিম আলমাহমুদ (দাদো)। চলুন ভ্রমণ শুরু করা যাক…
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড ভ্রমণ
ভ্রমণ স্থান | মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড |
ধরন | দর্শনীয় স্থান |
অবস্থান | মোহনপুর, মতলব উত্তর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ |
স্থাপিত | ২০২০ সাল |
ব্যবস্থাপনা পরিচালক | কাজী মো. মিজানুর রহমান |
ঢাকা থেকে দূরত্ব | ১০৮ কিলোমিটার (সড়কপথ) |
প্রবেশ মূল্য | ৫০ টাকা |
ড্রোন উড়ানো যাবে | হ্যাঁ |
খোলা থাকার সময় | সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত |
হটলাইন | ০১৮৯৪-৯৪৪২১১, ০১৮৯৪-৯৪৪২১৩ |
ফুড ম্যানেজার | ০১৮৯৩৪৪৮০৮০, ০১৬১৫০১২৮০২ |
মোহনপুর ভ্রমণ প্রস্তুতি
একনজরে মোহনপুর সম্পর্কে জানলাম এবার চলেন ভ্রমণ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানা যাক। আমার বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। আমার বাড়ি থেকে মোহনপুর খুব একটা দূরে নয়। একসময় এখানে বন্ধুরা মিলে ঘুরতে আসতাম। নদীতে গোসল করতাম। তখন অবশ্য এতো কিছু ছিল না।
ঢাকা থেকে বেশ কিছুদিন পর বাড়ি এসেছি। আর এখানে নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র হয়েছে তাও জানতে পেরেছি। একদিন সময় করে দুপুরে লাঞ্চ শেষে দাদো কে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে চলে আসলাম। নিজের থানায় নতুন পর্যটন কেন্দ্র হয়েছে ভেবে ভালোই লাগছিল।
মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র
আমরা মোটরসাইকেলে করে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র চলে আসলাম। এটা মোহনপুর লঞ্চঘাট এর উত্তর পাশে গড়ে উঠেছে। পূর্ব পাশে প্রধান সড়ক। পশ্চিমে নদীর পাড় ঘেষে বিশাল আয়তন নিয়ে এই পর্যটন লিমিটেড গড়ে উঠেছে।
এখানে নতুন একটি ইলিশ ভাস্কর্য বানানো হয়েছে। গাড়ি পার্কিং এর জন্য দক্ষিণ পুর্ব পাশে বিশাল জায়গা রয়েছে। গাড়ি পার্কিং ফি দিয়ে আপনাকে একটি টোকেন নিতে হবে। আবার, চলে যাবার সময় সেই টোকেন দেখিয়ে আপনাকে গাড়ি নিতে হবে। এখানে টোকেন ফি আগেই দিতে হয়।
আমরা মোটরসাইকেল রেখে টোকেন নিয়ে হেটে চলে আসলাম পর্যটন লিমিটের এর প্রধান ফটকে। এদিক দিয়ে শুধু প্রবেশ করতে পারবেন কিন্তু বের হতে হবে অন্য গেইট দিয়ে।
হাতের বা’পাশেই টিকিট কাউন্টার রয়েছে। মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা। আমরা কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করলাম। এখন পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের পালা।
আরও: নেদায়ে ইসলাম
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড ভ্রমণে যা দেখলাম
টিকিট নিয়ে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমেই আপনার চোখ যাবে গরিলা ভাস্কর্যের দিকে। অনেকটা মুখ ভেংচি করা ভাব নিয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে গরিলাটা।
তার পিছনে পর্যটক এর জন্য বিশাল বড় এক রেস্তোরা রয়েছে নাম: THE SHIP INN।
এদিক দিয়ে হাতের বা’দিকে গেলে আপনি এই পর্যটন এড়িয়া থেকে বের হওয়ার গেইট পাবেন। আর হাতের ডান’দিকে গেলে মূল পর্যটন কেন্দ্রটি দেখতে পাবেন।
আমরা হেটে এগোতে থাকলাম। বেশ ভালোই পর্যটক আসে এখানে। মতলব উপজেলায় এই পর্যটন কেন্দ্রটি ছাড়া আর ১টি মাত্র কৃত্রিম পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে জজ নগর পার্ক ও মিনি জো।
এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে হামিদ মিয়া জমিদার বাড়ি, নেদায়ে ইসলাম, কলাকান্দা মসজিদ ও মাদ্রাসা, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প ও ধনাগোদা নদী, লুধুয়া জমিদার বাড়ি, ১ গম্বুজ মসজিদ, নাউরী মন্দির ও রথ, আই সি ডি ডি আর বি, খোদাই পুকুর রহস্য ইত্যাদি।
আমরা হেটে উত্তর পাশে চলে আসলাম। নদীর ঠান্ডা সাতাস আমাদের লাগতে শুরু করেছে। বেশ চমৎকার ভাবেই সাজানো হয়েছে সব কিছু। একেবারে উত্তর পাশে সুন্দর একটি রাস্তা চলে গিয়েছে। রাস্তার মাঝানে লাইটিং করা হয়েছে।
সোজা পশ্চিম দিকে রয়েছে মূল রিভার বীচ।
মোহনপুর রিভার বীচ
পাকা রাস্তা থেকে নিচে নামলেই বুঝতে পারবেন নিচে বালি রয়েছে। পুরো রিভার বীচ বালি আর বালিময়।
আমরা হেটে নদীর পারে চলে আসলাম।
নদীর পাড় ঘেষে ছাতা চেয়ারের (কিটকট) রয়েছে। ২ জন একসাথে বা ১ জন এর জন্য কিটকট রয়েছে। প্রতি ছাতা চেয়ারের ভাড়া ঘন্টা প্রতি ৩০ টাকা। অনেকটা কক্সবাজারের মতই।
কিটকটে শুয়ে আপনি নদীর ঠান্ডা বাতাস খেতে পারবেন। এছাড়া নদীতে বয়ে চলা পালতোলা নৌকার অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাবেন। জেলেরা কি সুন্দর করে নদিতে মাছ ধরছে তাও দেখতে পাবেন।
স্পিডবোর্ড রাইড
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডে স্পিডবোর্ড রাইড এর চমৎকার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা ভ্রমনে গিয়ে ২ টি স্পিডবোর্ড দেখতে পেয়েছি। ২ টি স্পিডবোর্ড দিয়েই পর্যটকরা রাইড দিচ্ছে। রাইড এর এই স্থানটিতে প্রচুত ভিড় লেগে থাকে।
আরও: চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
পর্যটন লিমিটেড এর পরিবেশ
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর পরিবেশ খুবই ভালো। আমাদের দেখা মতে কোথাও কোন ময়লা আবর্জনা দেখতে পাইনি। তবে, বেশ কিছু স্থানে নির্মাণ কাজ চলছে। এছাড়া ভিতরে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য চমৎকার মানের আলাদা ভাবে ওয়াশরুম রয়েছে।
দেখার মত কি কি আছে
এখানে নদীর পাড়ে মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে পারবেন। এছারা, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পার্ক, ঘোড়া রাইড, স্পিডবোর্ড রাইড, নৌকা ভ্রমণ সহ বেশ কিছু রাইড রয়েছে, আরও রয়েছে, পিকনিক স্পর্ট, মিনি শিশুপার্ক ও সুইমিংপুল, অত্যাধুনিক মার্কেট।
আপনি কিটকটে শুয়ে সূর্যাস্ত (Sunset) দেখতে পাবেন! যা আপনার ভ্রমণ কে আরও পরিতৃপ্ত করে তুলবে।
রিভার ক্রুজ প্যাকেজ
এখানে রয়েছে চমৎকার বহিরাগত নদী ক্রুজ। আপনাকে ক্রুজ অফার করে যা আপনি সবসময় চেয়েছিলেন। রিভার ক্রুজের সব চেয়ে বড় যে সমস্যাটি রয়েছে তা হল, বড় দল খোঁজা। এখানে আপনাকে রিভার ক্রুজের জন্য বড় দল খোঁজতে হবে না।
এটি এখন আপনার হাতের নাগালেই। আপনার গ্রুপ অনুযায়ী আপনার প্যাকেজ কাস্টমাইজ করুন এবং অনেক মজার সাথে দিনটি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও: মেঘনা নদী
রিভার ক্রুজ প্যাকেজ মূল্য
আমি এখানে রিভার ক্রুজ প্যাকেজ এর কিছু মূল্য তালিকা দিচ্ছি তবে, এটা সময়/সিজন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে। আপনারা অবশ্যই উপরে দেয়া হট লাইন নাম্বারে মূল্য জেনে নিবেন।
- ইকোনমি: টাকা ১,৫০০/-
- চেয়ার: টাকা ২,৫০০/-
- সিঙ্গেল কেবিন: টাকা ৪,০০০/-
- ডাবল কেবিন: টাকা ৬,০০০/-
- ভিআইপি কেবিন: টাকা ১০,০০০/-
প্যাকেজ এর সাথে যা যা রয়েছে
রিভার ক্রুজ ভ্রমণে যা যা রয়েছে তার একটি সংক্ষিপ্ত লিস্ট দেয়া হল। তবে এখানেও পরবর্তীতে পরিবর্তন/পরিবর্ধন হতে পারে।
- সদরঘাট-মোহনপুর পর্যটন-সদরঘাট লঞ্চে।
- লঞ্চে সকালের নাস্তা
- লঞ্চে আনলিমিটেড কফি
- সৈকতের চারপাশে ঘুরে বেড়ান এবং দৃশ্য উপভোগ করা
- সৈকত থেকে চমৎকার সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা
- মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড -এ ৭০টি আইটেম বুফে লাঞ্চ
- লঞ্চে সন্ধ্যার নাস্তা
থিম পার্ক
পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে বড় এবং চমৎকার থিম পার্ক। এই থিম পার্কে বড়, ছোট এমনকি শিশুদের জন্য অনেক ধরনের রাইড রয়েছে। ভ্রমণে আপনাকে এবং আপনার বাচ্চাদের দারুণ আনন্দ দেবে। ফ্যামিলি ট্রেন, ওয়ান্ডার হুইল, হানি সুইং রাইড, সান্তা মারিয়া এবং আরও অনেক কিডি রাইড শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। ভ্রমণে গেলে রাইডে চড়তে ভুলবেন না।
থিম পার্ক এ ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত রাইড রয়েছে।
আরও: ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর
মাছ ধরা
মাছে ভরা বিশাল মেঘনা নদী আপনাকে সবচেয়ে শান্ত পরিবেশে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা দিবে। এই ভ্রমণে আপনি মাছ ধরার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। তবে, এখানে মাছ ধরার রড দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন শুধু।
বারবিকিউ জোন
মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র আরেকটি চমৎকার বিষয়ের জন্য বিখ্যাত তা হল, বারবিকিউ (BBQ) জোন। এখানে রয়েছে বারবিকিউ কর্নার। যেখানে আপনি আপনার বন্ধু বা পড়িবার নিয়ে বারবিকিউ পার্টি করতে পারবেন। বারবিকিউ পার্টির জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা কতৃপক্ষ করে দিবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডে রয়েছে চমৎকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখাণে ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কোন ধরনের ইভটিজিং, ছিনতাই নিয়ে আপনাকে টেনশন করতে হবে না। এছাড়া পর্যটকদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে।
আরও: লুধুয়া জমিদার বাড়ি
খাবার ব্যবস্থা
এখানে পর্যটকদের জন্য থ্রি-স্টার ও ফাইভ-স্টার মানের হোটেল, রেস্টহাউজ, ক্যান্টিন, পিকনিক স্পর্ট সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনে পাঁচ হাজার আসনের উন্মুক্ত মঞ্চ রয়েছে।
নদীর নানা প্রকারের সুস্বাদু মাছ সহ হরেক রকমের খাবার রয়েছে এখানে। খাবারের দাম তুলনামূলক কম এবং পরিবেশ অত্যন্ত ভালো।
কোথায় থাকবেন
বাংলাদেশের একমাত্র মিঠা পানির বিচ মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডে থাকার জন্য রয়েছে চমৎকার ৩/৫ স্টার মানের রিসোর্ট। রিসোর্টে উন্নতমানের সকল সুজগ-সুবিধা রয়েছে। থাকছে সুইমিংপুল। এছাড়া হানিমুন প্যাকেজ রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডিলাক্স এবং প্রিমিয়াম ডিলাক্স ক্যাটাগরি কটেজ রয়েছে। চাইলে কটেজ এ থাকতে পারবেন।
আরও: মতলব উত্তর উপজেলা পরিচিতি
মোহনপুর কিভাবে যাবেন
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড ভ্রমণে কিভাবে যাবেন? ঢাকা থেকে দুই ভাবে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড যাওয়া যায়-
নৌপথ
ঢাকা গুলিস্থান থেকে উৎসব বা বন্ধন বাসে করে চলে যাবেন নারায়ণগঞ্জ। ভাড়া নিবে ৩৫ টাকা। নারায়ণগঞ্জ লঞ্চটার্মিনালে জন প্রতি ১০ টাকা করে নেয় টার্মিনালের ভিতরে প্রবেশের জন্য।
নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর বা মতলব এর উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যায়। যে লঞ্চ গুলো মোহনপুর লঞ্চঘাট টাচ করে আপনি সে লঞ্চে উঠবেন। লঞ্চে বিলাস এর ভাড়া জনপ্রতি ৯০ টাকা। লঞ্চে ২ থেকে ২.৫ ঘন্টা সময় লাগবে মোহনপুর পৌঁছাতে।
সড়কপথ
ঢাকা থেকে: সড়ক পথে যেতে হলে, আপনাকে ঢাকা সায়েদাবাদ থেকে কুমিল্লাগামী বাসে দাউদকান্দি যেতে হবে। ভাড়া নিবে ৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। বাসে উঠার আগে ভাড়া দামাদামি করে ঠিক করে নিবেন।
দাউদকান্দি নেমে সিএনজি করে চলে আসবেন সিরারচর। ভাড়া নিবে ৫০ টাকা। সিরারচর থেকে আবার সিএনজি করে চলে আসবেন মতলব। ভাড়া নিবে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
এরপর মতলব থেকে সিএনজি অথবা মোটরসাইকেলে চলে আসতে পারবেন মোহনপুর। ভাড়া নিবে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
চট্রগ্রাম এবং কুমিল্লা থেকে: চট্রগ্রাম থেকে কুমিল্লা বিশ্বরোড থেকে বোগদাদ বাসে করে বাবুরহাট, সেখান থেকে সিএনজি করে মতলব বাজারে নামলে যেকোন পরিবহনে করেই যেতে পারবেন পর্যটনে।
পরামর্শ: আপনি লঞ্চে চলে আসতে পারেন। এটাই সবচেয়ে সহজ পথ মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড -এ আসার। তবে আপনার যদি লঞ্চ ভ্রমনে সমস্যা হয় তাহলে সড়ক পথে আসতে পারেন।
এছাড়াও আপনি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন, পার্কিং নিয়ে দুশ্চিন্তার করার কারন নেই। এখানে রয়েছে বিশাল পার্কিং এর সুব্যবস্থা।
আরও: জজ নগর
মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ টিপস
নিচে ভ্রমণের কিছু টিপস দেয়া হল-
- কালবৈশাখী বা ঝড়ের দিনে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ না করাই উত্তম।
- নদীতে নামার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- নদীর গভীরে গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করবেন না।
- নদী দিয়ে বড় লঞ্চ বা ষ্টীমার চলার সময় পাড়ে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পরে, এসময় নদী থেকে দূরে থাকুন অথবা সাবধান থাকুন।
- কারও অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না বা ভিডিও ধারণ করবেন না।
- গরম বালুর উপর দিয়ে হাটার সময় পায়ে জুতা পরে নিন।
- বাচ্চাদের দিকে খেয়াল রাখুন।
- নদীর পানি পান করবেন না।
- নদীতে মলত্যাগ করবেন না।
- ময়লা আবর্জনা দিয়ে পরিবেশ নোংরা করবেন না।
- বাচ্চাদের নিয়ে রাইডিং এর সময় সতর্ক থাকবেন।
- জোরে জোরে কথা বলা বা শব্দ করা থেকে বিরত থাকুন। এগুলো অভদ্র মানুষের কাজ।
ভ্রমণ জিজ্ঞাসা
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড নিয়ে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর। এছাড়াও আপনার যে কোন প্রশ্ন, মন্তব্যে জানাতে পারেন।
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর প্রবেশ মূল্য কত?
৫০ টাকা।
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর মালিক কে?
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. মিজানুর রহমান।
মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র কবে বন্ধ থাকে?
পর্যটন কেন্দ্র প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা আছে কি?
হ্যাঁ আছে।
খাওয়ার ব্যবস্থা আছে কি?
এখানে পর্যটকদের জন্য থ্রি-স্টার ও ফাইভ-স্টার মানের হোটেল, রেস্টহাউজ, ক্যান্টিন, পিকনিক স্পর্ট সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনে পাঁচ হাজার আসনের উন্মুক্ত মঞ্চ রয়েছে।
থাকার ব্যবস্থা আছে কি?
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডে থাকার জন্য রয়েছে চমৎকার ৩/৫ স্টার মানের রিসোর্ট। রিসোর্টে উন্নতমানের সকল সুজগ-সুবিধা রয়েছে। থাকছে সুইমিংপুল। এছাড়া হানিমুন প্যাকেজ রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডিলাক্স এবং প্রিমিয়াম ডিলাক্স ক্যাটাগরি কটেজ রয়েছে। চাইলে কটেজ এ থাকতে পারবেন।
মোহনপুর ভ্রমণ ভিডিও
এবার চলুন ভ্রমণের ভিডিও দেখা যাক-
সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র মোহনপুর। নিচের ভিডিওটি ধারণ করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।
ফেসবুক: Kuhudak
ভাই নোয়াখালী থেকে কিভাবে আসবো???
প্রথমে নোয়াখালী থেকে চাঁদপুর (বাবুরহাট) আসতে হবে।
বাবুরহাট থেকে মতলব আসার জন্য CNG পাবেন। ভাড়া নিবে জন প্রতি ৩০/৪০ টাকা। মতলব ব্রিজ থেকে সি এন জি করে নতুন বাজার/ আনন্দ বাজার চলে আসবেন। ভাড়া নিবে জন প্রতি ৫০-৬০ টাকা। নতুন বাজার/ আনন্দ বাজার থেকে অটো অথবা সিএনজি করে মোহনপুর পর্যটন কন্দ্রে চলে আসবেন। মতলব ব্রিজ থেকে রিজার্ভ সিএনজি নিয়েও মোহনপুর আসতে পারবেন।
চাঁদপুর (বাবুরহাট) থেকে সময় লাগবে ১ থেকে ১ঃ২০ ঘন্টার মত।
বিঃদ্রঃ মতলব থেকে সি এন জি ছাড়াও আপনি চাইলে মোটরসাইকেল করে যেতে পারেন। ভাড়া অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন।
কটেজের / হোটেলের ফি কতো??
আপাতত সব কিছু বন্ধ রয়েছে।
ওখানে যে শিশুপার্ক টা আছে ওখানে রাইড গুলো ফি কেমন সেটা নিয়ে ধারণা দিলে ভালো হতো।। আশাকরি এটার উত্তর দিবেন।
মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড, শিশুপার্ক এর রাইড সময়/সিজন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে। তবে, বর্তমানে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত রাইড ফি রয়েছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। Arif Hossain এর সাথেই থাকুন।
আচ্ছা ভাই,
আমি ঢাকার সদর ঘাট বা নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চে মোহনপুর যেতে চাচ্ছি। উন্নত মানের কোন লঞ্চ আছে? আর কতক্ষন সময় লাগবে? আর সাথে যদি সদরঘাট ও নারায়নগঞ্জ থেকে এই লঞ্ছের সময় সুচি একটু জানাতেন, তাহলে ভাল হতো। আম এই ঈদের ২ দিন পরে ফেমিলি সহ আসতে চাচ্ছি।
ভাল থাকবেন।
তোফাজ্জল হোসেন।
রামগঞ্জ থেকে কিভাবে যাওয়া যায় ভাই? মোটর বাইকে করে?
চাঁদপুর থেকে সড়ক পথঃ আপনি চাঁদপুর সদর থেকে সড়ক পথে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারেন। চাঁদপুর সদর থেকে সিএনজি (CNG) করে বাবুরহাট হয়ে মতলব চলে আসবেন। ভাড়া নিবে জন প্রতি ৫০ টাকা। মতলব ব্রিজ থেকে সি এন জি করে নতুন বাজার/ আনন্দ বাজার চলে আসবেন। ভাড়া নিবে জন প্রতি ৫০-৬০ টাকা। নতুন বাজার/ আনন্দ বাজার থেকে অটো অথবা সিএনজি করে মোহনপুর পর্যটন কন্দ্রে চলে আসবেন। মতলব ব্রিজ থেকে রিজার্ভ সিএনজি নিয়েও মোহনপুর আসতে পারবেন।
চাঁদপুর থেকে সময় লাগবে ১ থেকে ১ঃ৩০ ঘন্টার মত।
বিঃদ্রঃ মতলব থেকে সি এন জি ছাড়াও আপনি চাইলে মোটরসাইকেল করে যেতে পারেন। ভাড়া অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন।
outstanding
Thanks for your understanding.
আসসালামু আলাইকুম ভাই একটা কথা জানার ছিল ভাই এখনকার দিনে মানুষ ঘুরতে বের হয়না এইজন্য মানুষের কোন নিরাপত্তা কিছু থাকে না কোন একটা জায়গায় গেলে আশেপাশে আরও অনেক বাজে ছেলেরা পিছে লেগে যায় দেখা গেছে ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যায় সাথে মা-বোন ওয়াইফ সবারই থাকে বাট কিছু ছেলেদের কারণে প্রবলেমে পরতে হয় এইজন্য বলেছি বাই সরি আমার কিছু ভুল হয়ে থাকে এবং কোন গেদারিং হয় কিনা ওদিকে না আইনিভাবে কি কোন ওখানে মানুষদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়
আপনার কথার সাথে আমি একমত। তবে, মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডে রয়েছে চমৎকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখাণে ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কোন ধরনের ইভটিজিং, ছিনতাই নিয়ে আপনাকে টেনশন করতে হবে না। এছাড়া পর্যটকদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে।
আসসালামু আলাইকুম এই জায়গায় চাঁদপুর সদর থেকে যাইতে কত মিনিট লাগতে পারে বা কয় ঘন্টা আর কিভাবে যেতে সহজ হবে একটু বলবেন ভাইয়া
ওয়ালাইকুম আসসালাম।
চাঁদপুর থেকে সড়ক পথঃ আপনি চাঁদপুর সদর থেকে সড়ক পথে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারেন। চাঁদপুর সদর থেকে সিএনজি (CNG) করে বাবুরহাট হয়ে মতলব চলে আসবেন। ভাড়া নিবে জন প্রতি ৫০ টাকা। মতলব ব্রিজ থেকে সি এন জি করে নতুন বাজার/ আনন্দ বাজার চলে আসবেন। ভাড়া নিবে জন প্রতি ৫০-৬০ টাকা। নতুন বাজার/ আনন্দ বাজার থেকে অটো অথবা সিএনজি করে মোহনপুর পর্যটন কন্দ্রে চলে আসবেন। মতলব ব্রিজ থেকে রিজার্ভ সিএনজি নিয়েও মোহনপুর আসতে পারবেন।
চাঁদপুর থেকে সময় লাগবে ১ থেকে ১ঃ৩০ ঘন্টার মত।
বিঃদ্রঃ মতলব থেকে সি এন জি ছাড়াও আপনি চাইলে মোটরসাইকেল করে যেতে পারেন। ভাড়া অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন।
নৌপথঃ নৌপথে খুব সহজে চাঁদপুর সদর থেকে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে আসা যায়। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট বা বড় স্টেশন থেকে নিদিষ্ট সময় পর পর ঢাকা/নারায়ণগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যায়। আপনি লঞ্চে করে মোহনপুর লঞ্চ ঘাট এসে নামবেন। এখানেই পর্যটন কেন্দ্র টি রয়েছে। ভাড়া নিবে ২০-৩০ টাকা। সময় লাগবে ১ ঘন্টার মত।
পুর্যটন কেন্দ্রের কোন নাম্বার আছে?
দুঃখিত, মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড – মতলব উত্তর, চাঁদপুর এর কোন মোবাইল/ফোন নাম্বার নেই।
গোসলের জন্য কি সুইমিং কস্টিউম লাগবে না কি লুঙ্গি পরে গোসল করা যাবে?
হাহা… চমৎকার মন্তব্য! জি, লুঙ্গি পরে গোসল করা যাবে।
Bhai, sodorghat theke launch e jete kotokhn somoy lagbe?
2 gontar moto.
সবই ভালো লাগলো কিন্তু থাকার কি কোনো হোটেল আছে।kindly জানাবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জি, থাকার জন্য হোটেল রয়েছে।
কোথায়আছে থাকার জন্যহোটেল
বিচ এর পাশেই বেশ কয়েকটি হোটেল এবং কটেজ রয়েছে। এছাড়া চাঁদপুর শহরেও বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। চাইলে সেখাও থাকতে পারবেন।
wOw!!! This is Nice place.
thanks
সুইমিংপুল আছে কি?
আপাতত নেই।
Wow! Chadpur looks so beautiful. I want to visit there someday.
okk… welcome to bangladesh.