মাধবপুর লেক ভ্রমণ – মৌলভীবাজার, সিলেট গিয়েছিলাম গত ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে। তখন শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ – মৌলভীবাজার, সিলেট গিয়েছিলাম।
আজকে আমি আপনাকে মাধবপুর লেকে ভ্রমণ এ নিয়ে যাব। ঘুরে দেখানো চেষ্টা করব এবং সাথে মাধবপুর লেক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
একনজরে মাধবপুর লেক
ভ্রমণ স্থান | মাধবপুর লেক |
অবস্থান | কমলগঞ্জ উপজেলা, মৌলভীবাজার, সিলেট |
আয়তন | প্রায় ৫০ একর এবং দৈর্ঘ্যে ৩ কিলোমিটার; প্রস্থ স্থান বিশেষে ৫০ হতে ৩০০ মিটার। |
সময় | প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে সন্ধ্যা ৬টা |
লেক তৈরি করা হয় | ১৯৬৫ সালে |
মাধবপুর লেক ভ্রমণ
মাধবপুর লেকে ভ্রমণ করতে ঢাকা থেকে কিভাবে যাবেন তা পরুন এখান থেকে। মাধবপুর টি স্টেট থেকে হেটে ভিতরে গেলেই আপনি মাধবপুর লেক এর দেখা পাবেন।
সমতল ভূমি থেকে এই লেক এর অবস্থান একটু উপরে। লেক এর চারপাশ ঘিরে রয়েছে পাহাড়।
মাধবপুর লেকের পানি একেবারে স্বচ্ছ। পানির নিচে কি আছে আপনি তা দেখতে পাবেন।
লেকে উঠার পর হাতের বাদিকে লেক পাড়ে বসার জন্য কয়েকটি পাকা টুল রয়েছে। আপনি চাইলে বসে লেক উপভোগ করতে পারবেন।
আরও: চিড়িয়াখানা ভ্রমণ – মিরপুর, ঢাকা
মাধবপুর লেক
একদিকে লেকে একটি ছোট সিড়ি রয়েছে। তবে, সুন্দর এর বিষয় হল: লেকের চারপাশ ঘিরে অসংখ্য নীল পদ্ম আর বেগুনী শাপলা ফুল।
এছাড়া আরও রয়েছে গোলপাতা আর শালুকের ঝাড়। টিলার ঝোপঝাড়ে আছে নানা বর্ণের বুনো ফুল, যাদের মধ্যে ভাঁট ফুলই প্রধান।
মাধবপুর লেকের পার
মাধবপুর লেকের পার রয়েছে একেবারে পাহাড় ঘেষে। বৃষ্টির সময় এখানে হাটার অনুপযোগী হয়ে যায় বলে আমার মনে হয়।
আমরা লেক পারে হেটে হেটে অনেকটা এগুলাম। তবে বেশিদূর যাইনি।
মাধবপুর লেকের ইতিহাস
চা বাগানে চাষের ও অন্যান্য বিভিন্ন কারণে ব্যবহারের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয় বলে পাবত্য অঞ্চলের বৃষ্টিবহুল এলাকাগুলোই চা চাষের জন্য সর্ব্বোৎকৃষ্ট।
কিন্তু, এসব অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ অধিক হলেও ঢালু ভূমির কারণে পানি অধিক সময় অবস্থান করেনা বিধায় পানির প্রয়োজনে বাগান কর্তৃপক্ষ একাধিক জলাধার তৈরী করেন, যা প্রায় প্রতিটি চা বাগানের ক্ষেত্রেই অতি স্বাভাবিক ব্যাপার এবং স্থানীয় চা শ্রমিকরা এসব হ্রদকে “ডাম্প” বলে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায়, মাধবপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ ১৯৬৫ সালে বাগানের মধ্যস্থিত তিনটি টিলাকে বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে রেখে গড়ে তোলেন মাধবপুর হ্রদ।
ফেসবুক: Kuhudak