জজ নগর পার্ক ও মিনি জো এর পুরো নামঃ জজ নগর (Judge Nagar) শামীমা রাতুল শিশু পার্ক ও মিনি জো। মানুষের তৈরি চমৎকার এক পার্ক এই জজ নগর পার্ক ও মিনি জো। দেখে আপনার ভালো না লেগে উপায় নেই।
জজ নগর (Judge Nagar)- শামীমা রাতুল শিশু পার্ক ও মিনি জো নিয়ে আমার আগের লেখাটি পড়ে আসতে পারেন। আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদের জজ নগর পার্ক ও মিনি জো ঘুরে দেখাব।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক…।
প্রথমে আমি বলব, যেহেতু পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাচ্ছেন… তাই হাতে একটু বেশি সময় নিয়েই বের হন। তাহলে আপনার ভ্রমণ টা পরিপূর্ণ হবে।
জজ নগর পার্ক ও মিনি জো তে ঢুকার পরই যে বিষয় গুলো আপনার চোখে পরবে তার ভিতর প্রথম হচ্ছে এর প্রধান গেইট বা প্রধান ফটক। গেইট দেখে খুব বেশি ভালো না লাগলে ও খারাপ লাগার কারন নেই। মোটামোটি সিম্পল এর ভিতর গর্জিয়াস ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই গেইট।
গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ এর পর আপনি আরেকটি ছোট গেইট দেখতে পাবেন। সেখানে হাতের ডানপাশে একটি টিকেট কাউন্টার রয়েছে। সেখান থেকে আপনাকে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে। টিকেট সংগ্রহের পর আপনি ছোট গেইট পার হয়ে ভিতরে প্রবেশ করবেন।
ভ্রমণ নিয়ে আরো পড়ুনঃ কক্সবাজার ভ্রমণ
২য় গেইট দিয়ে ঢুকার পর জজ নগর পার্ক এর সুন্দর করে সাজানো হাতের বা দিকে গোল আরেকটি ছোট গেইট রয়েছে। আপনার হয়তো সেখানে দাড়িয়ে ছবি তুলতে ইচ্ছা করবে। তো দেরি কিসের! পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে জটপট কয়েকটা ছবি তুলে নিন।
এরপর আপনি দেখতে পাবেন একটি গোলঘর। গোলঘর এর যাওয়ার জন্য রয়েছে একটি ছোট ব্রিজ এবং ব্রিজ এর নিচে রয়েছে পানি! ব্যাপারটা আপনার কাছে অনেক দারুণ লাগবে।
তারপর রয়েছে বাচ্চাদের খেলার জন্য নানা জিনিসপত্র। বড় বাচ্চারা চাইলেও সেগুলো ব্যাবহার করে মজা নিতে পারেন।
এরপর রাস্তাটি ২ ভাগ হয়ে পুকুর এর পাড়ঘেষে একটি ডানে অপরটি বা দিকে চলে গিয়েছে। মাঝখানে বড় এর পুকুর। পুকুর এ রয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট নৌকো। আপনি চাইলে নৌকো গুলোতে চড়তে পারেন। এই পুকুর গুলোতে রয়েছে বেশ বড় বড় মাছ।
চলুন আমরা পুকুর এর পাড়ঘেষে হাতের বা দিকে যাই।
পাড়ের দু দিকে নানা প্রজাতির বড় বড় গাছ রয়েছে। তার নিচে আবার ছোট ছোট ফুলের গাছ রয়েছে। পুকুর এর পাড় গুলো পাকা করা। আমি একা হেঁটেছি তাতেই ভালো লেগেছে। আর সঙ্গি থাকলে তো কথা ই নেই। যাক সে বিষয়ে যাচ্ছি না। এটা উচ্চমার্গ বিষয়। আমরা বাচ্চারা সে দিকে না যাই।
হাতের বা দিকে পাড় ঘেষে কিছুদূর যাওয়ার পর হাতের বা দিকে আরেকটি মোড়। আর সোজা চলে গিয়েছে বড় বাকানো ব্রিজ এর দিকে। আমরা বা দিকেই মোড় নিব।
বাদিকে কিছুটা যাওয়ার পর আপনি একটি মিনি জো দেখতে পাবেন। এই ছোট চিরিয়াখানায় দুর্লভ জাতীয় কিছু পাখি রয়েছে। আপনি এখানে ঘোড়া ও দেখতে পাবে। আমি যখন গিয়েছিলাম সেই সময় ঘোড়াটি খাচা থেকে বাহিরে ছিল। আমি যতটা সম্ভব ঘোড়ার কাছে গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করেছি।
এই মিনি জো দেখার পর আপনাকে আবার ডানে মোড় নিতে হবে। এখানে রয়েছে উচু একটি গোলঘর। আপনি চাইলে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারবেন।
গোলঘর এর ঠিক নিচেই রয়েছে পুকুর এর ঘটলা। ইচ্ছে করলে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে পানি ছুঁতে পারবেন।
এখান থেকে বের হয়ে আবার ডানে মোড় নিয়ে কিছুটা আসার পর আবার ডানে মোড়। ডানে মোড় নিয়ে আপনি বড় ব্রিজ এর উপর উঠতে পারেন। এখানে চাইলে ব্রিজ এর উপর বসতে ও পারবেন। তবে খুব সাবধানে। একটু একিস সেদিক হলে ই কুপকাত। সোজা পানিতে। ব্রিজ এর উপর থেকে আপনি সম্পূর্ণ জজ নগর পার্ক ও মিনি জো দেখতে পাবেন। চাইলে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে কিছু ছবি তুলে নিতে পারেন।
ব্রিজ এ ঘুরা শেষ হলে যে পথ দিয়ে এসেছেন সে দিকে কিছুটা পিছনে ফিরে আসতে হবে যদি আপনি মিনি জো তে বানরের সাথে দেখা করতে চান। পিছনে ফিরে এসে হাতের ডানে গেলেই আপনি মিনি চিড়িয়াখানা দেখতে পাবেন।
সাপ, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, খরগোশ, হাঁস সহ অনেক কিছু দেখতে পাবেন এই জজ নগর মিনি জো তে। বানরের খাচাটি দেখতে পাবেন সবার শেষে। এরপর বানরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সোজা চলে আসুন পুকুর এর পাশে আরেকটি বিশ্রামাগার এ। এখানে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। উপভোগ করার চেষ্টা করুন এই জজ নগর পার্ক কে।
সব শেষে রয়েছে একটি বড় এবং অনেক উচু গোলঘর। আপনার পায়ে শক্তি থাকলে উঠে পড়তে পারেন এই গোলঘরে। গোলঘর এর নিচেই রয়েছে ছোট একটি খাবারের দোকান। খিদে লাগলে কিছু খেয়ে নিতে পারেন।
এবার বিদায়ের পালা। বিদায়ের আগে বলব যদি আপনি এই জজ নগর (Judge Nagar) ভ্রমণ নিয়ে আমার আগের ব্লগ টি না পড়ে থাকেন তাহলে, এখনি পড়ে নিন।
জজ নগর পুকুর ও মিনি জো
ফেসবুক: Kuhudak
ভ্রমণ নিয়ে আরো পড়ুন: সুন্দরবন ভ্রমণ
নতুন জায়গা। সুন্দর!
ভালো
Thax