শিশুদের ভ্রমণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করতে গেলে কিছু অতিরিক্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। ভ্রমণ শুধু আপনার জন্যই নয়, বরং আপনার শিশুর জন্যও আরামদায়ক এবং মজার করতে হবে। সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিলে ভ্রমণ হতে পারে স্মরণীয় এবং চমৎকার অভিজ্ঞতা।
নিচে শিশুদের জন্য ভ্রমণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা, পরামর্শ এবং কেনো সেগুলো জরুরি, সে সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো। এই লেখাটি তোমার ভ্রমণকে আরও সহজ এবং সুশৃঙ্খল করতে সাহায্য করবে। চলো শুরু করা যাক…
আরও: বাংলাদেশের সেরা ১০টি শিশু পার্ক
১. প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম
ভ্রমণের সময় যেকোনো ধরনের ছোটখাটো আঘাত, অসুস্থতা বা অস্বস্তি হতে পারে। এজন্য একটি প্রাথমিক চিকিৎসার কিট সাথে রাখা খুবই জরুরি। এর মধ্যে থাকতে হবে:
- ব্যান্ডেজ
- অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বা স্প্রে
- তাপমাত্রা মাপার থার্মোমিটার
- শিশুর নিয়মিত ওষুধ (যদি কোনো থাকে)
- পেইন রিলিফ সিরাপ
- মশার কামড় বা অন্য কোনো ত্বকের জ্বালাপোড়া রোধের জন্য ওষুধ
ভ্রমণকালে তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে শিশুদের মাঝে অনেক সময় অসুস্থতা দেখা দেয়। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা কিট যেন সবসময় হাতের কাছে থাকে, এটা নিশ্চিত করো।
২. ডায়াপার এবং ওয়াইপস
আপনি যদি ছোট বাচ্চা নিয়ে ভ্রমণ করেন, তাহলে অবশ্যই প্রচুর ডায়াপার সাথে রাখতে হবে। দূরপাল্লার ভ্রমণে ডায়াপার দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, তাই একটু বেশি নিয়ে যাওয়াই ভালো। এছাড়া বেবি ওয়াইপস বহন করাও খুবই জরুরি। এটি শুধু ডায়াপার পরিবর্তন করার সময়ই নয়, বরং শিশুদের হাত-মুখ মুছে দেওয়ার জন্যও কাজে লাগবে।
এখানে একটি পরামর্শ হলো, ভ্রমণের সময় কাপড়ের ডায়াপারের চেয়ে ডিসপোজেবল ডায়াপার ব্যবহার করা বেশি সুবিধাজনক, কারণ সেগুলো ব্যবহারের পর সহজেই ফেলে দেওয়া যায়।
আরও: ভ্রমণে বমি-মাথা ঘোরা: কারণ, প্রতিরোধ ও সমাধান
৩. বেবি ক্যারিয়ার বা স্ট্রোলার
ভ্রমণের ধরন অনুযায়ী তুমি বেবি ক্যারিয়ার বা স্ট্রোলার বেছে নিতে পারেন। যদি বেশি হাঁটতে হয়, তাহলে স্ট্রোলার বেশ কাজে আসবে। তবে যদি এমন কোনো জায়গায় যান যেখানে স্ট্রোলার চালানো কঠিন, সেখানে বেবি ক্যারিয়ার বেশি উপযুক্ত। এতে শিশুকে কাঁধে বা সামনে ধরে হাঁটতে পারবেন এবং আপনার দুই হাতও মুক্ত থাকবে।
একটি লাইটওয়েট স্ট্রোলার বা ক্যারিয়ার বহন করা সবসময় সুবিধাজনক, কারণ এগুলো সহজেই ভাঁজ করে নিয়ে যাওয়া যায়।
৪. শিশুর পছন্দের খেলনা
ভ্রমণের সময় শিশুরা অনেকসময় বিরক্ত হয়ে যায়। তাই তাদের পছন্দের খেলনা বা নতুন কোনো ছোট খেলনা সঙ্গে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে তারা বিনোদিত থাকবে এবং যাত্রার সময় বোর ফিল করবে না। বিশেষ করে, প্লেনে বা ট্রেনে ভ্রমণের সময় শিশুরা খেলনা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে তোমারও সুবিধা হবে।
তবে খেয়াল রাখবেন, খুব ছোট ছোট খেলনা যেন না থাকে, কারণ সেগুলো হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫. খাবার এবং পানীয়
শিশুরা ভ্রমণের সময় ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত হতে পারে। তাই শিশুর প্রিয় খাবার এবং পর্যাপ্ত পানীয় সাথে রাখা জরুরি। শিশুরা সাধারণত ভ্রমণের সময় পরিচিত স্বাদ পছন্দ করে, তাই বাসা থেকে কিছু হালকা খাবার যেমন ফল, বিস্কুট, প্যাকেটজাত জুস বা দুধ রাখতে পারেন। যদি শিশুটি ছোট হয় এবং বুকের দুধ পান করে, তাহলে স্তন্যদানের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন ফিডিং কভার বা নার্সিং শালও নিতে হবে।
যতই ভ্রমণ হোক, শিশুকে নিয়মিত খাওয়ানো ও পানি পান করানো অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, যেন সে স্বাভাবিক ও আরামদায়ক অনুভব করে।
আরও: শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্রমণের ১৫টি টিপস
৬. অতিরিক্ত জামা-কাপড়
শিশুরা ভ্রমণের সময় জামা-কাপড় নোংরা করে ফেলতে পারে, তাই যথেষ্ট অতিরিক্ত জামা-কাপড় সাথে রাখা দরকার। শীত বা গরমের কথা মাথায় রেখে শিশুদের জামা-কাপড় নির্বাচন করতে হবে। অনেকসময় গন্তব্যে যাওয়ার পর আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যায়, তাই সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
এছাড়া শিশুর জন্য পাতলা কাপড়ের মোটা একটা কম্বল সাথে রাখা যায়, যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে – যেমন ঘুমানোর সময় ঢেকে দেওয়া, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় গায়ে জড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি।
৭. সানস্ক্রিন এবং হ্যাট
যদি আপনার ভ্রমণের গন্তব্য রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে হয়, তবে শিশুর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরি। সানস্ক্রিন শিশুদের নরম ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া, সূর্য রোদে শিশুর জন্য একটি হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন, যা তার মাথা ও মুখ ঢেকে রাখবে।
৮. পোর্টেবল চেঞ্জিং ম্যাট
যেকোনো জায়গায় ডায়াপার পরিবর্তন করতে গেলে সমস্যা হতে পারে। তাই একটি পোর্টেবল চেঞ্জিং ম্যাট সাথে নিয়ে যাওয়া ভালো। এটি বহন করা সহজ এবং যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যায়। শিশুর ডায়াপার পরিবর্তনের সময় এটি অনেক কাজে আসে।
আরও: ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি
৯. শিশুদের জন্য সুরক্ষা সামগ্রী
আপনি যদি এমন কোনো স্থানে ভ্রমণ করেন যেখানে শিশুদের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে, তাহলে অবশ্যই শিশুর সুরক্ষা সামগ্রী সাথে রাখবেন। যেমন:
- চাইল্ড হারনেস বা বেল্ট: যদি আপনার শিশু হাঁটতে শুরু করে থাকে এবং সে দৌড়াতে পছন্দ করে, তাহলে এই হারনেস ব্যবহার করে আপনি তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
- নিট হেড হেলমেট: যদি ভ্রমণের কোনো অংশে বেশি অ্যাকটিভিটি করতে হয়, যেমন বাইক চালানো বা পাহাড়ি এলাকায় হাঁটা, তখন শিশুর জন্য হেলমেট ব্যবহার করতে পারেন।
১০. শিশুদের বিনোদনের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস
আজকাল অনেক বাবা-মা শিশুদের ভ্রমণের সময় ডিজিটাল ডিভাইস যেমন ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোনে কার্টুন বা ছোট ভিডিও দেখানোর ব্যবস্থা করেন। যদি দীর্ঘ সময়ের ভ্রমণ হয়, তবে এই ধরনের বিনোদন ব্যবস্থা শিশুদের জন্য অনেক কার্যকর হতে পারে। তবে অবশ্যই সময়ের সীমা রাখতে হবে, যাতে তারা অতিরিক্ত সময় স্ক্রিনে কাটিয়ে না ফেলে।
১১. শিশুর প্রিয় স্লিপিং গ্যাজেট
শিশুরা সাধারণত নিজেদের বিছানায় বা পরিচিত পরিবেশে ঘুমাতে স্বস্তি বোধ করে। তাই ভ্রমণের সময় শিশুদের জন্য পরিচিত কিছু স্লিপিং গ্যাজেট সাথে নেওয়া ভালো। এটি হতে পারে তার প্রিয় বালিশ, কম্বল বা স্লিপিং ব্যাগ। এসব গ্যাজেট শিশুকে আরামদায়কভাবে ঘুমাতে সাহায্য করবে এবং নতুন জায়গায় ঘুমের সমস্যা কমাবে।
আরও: ভ্রমণ লিপি – বর্ণমালায় বাংলাদেশ
১২. গাড়ি ভ্রমণের জন্য কার সিট
যদি গাড়িতে ভ্রমণ করেন, তাহলে অবশ্যই শিশুর জন্য কার সিট সাথে নিতে হবে। এটি শুধু আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলকই নয়, বরং শিশুর নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাড়িতে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে কার সিটের কোনো বিকল্প নেই।
১৩. শিশুর পরিচ্ছন্নতার জন্য স্যানিটাইজার এবং টিস্যু
ভ্রমণের সময় শিশুর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ধরনের ময়লা বা জীবাণু থেকে শিশুকে রক্ষা করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং টিস্যু সাথে রাখা উচিত। বিশেষ করে, ভ্রমণের সময় আপনি হয়তো সবসময় হাত ধোয়ার সুযোগ পাবে না, তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার শিশুর হাত পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে।
এছাড়া ভ্রমণের সময় যদি বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন টিস্যু খুব কাজে আসতে পারে। শুধু শিশুদের জন্যই নয়, এটি আপনার জন্যও প্রয়োজনীয়।
১৪. স্ন্যাকস এবং হালকা খাবার
ভ্রমণের সময় অনেক শিশু ক্ষুধার্ত হয়ে যায় এবং ভ্রমণের রুটে প্রতিটি জায়গায় ভালো খাবার পাওয়া নাও যেতে পারে। তাই স্ন্যাকস এবং হালকা খাবার সঙ্গে রাখা উচিৎ। আপনি শিশুর পছন্দের কিছু স্ন্যাকস যেমন ফলের প্যাকেট, বিস্কুট, কেক বা ক্র্যাকারস নিতে পারেন। তবে, খুব মসলাযুক্ত বা তেল চর্বিযুক্ত খাবার না নেওয়াই ভালো, কারণ এটি শিশুদের পেটের জন্য ভালো নাও হতে পারে।
শিশুরা সাধারণত খাওয়ার সময় বেশ বেছে বেছে খায়, তাই তাদের পছন্দের এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস নিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করবেন।
১৫. শিশুর পোর্টেবল বাথটব বা ফোল্ডেবল বাথ সিট
শিশুরা অনেক সময় ভিন্ন পরিবেশে গোসল করতে অস্বস্তি বোধ করে। যদি আপনি হোটেলে অবস্থান করেন এবং সেখানে বড় বাথটব না থাকে, তাহলে একটি ফোল্ডেবল বাথ সিট বা পোর্টেবল বাথটব নিতে পারেন। এতে শিশুর গোসল করানো সহজ হবে এবং সে আরামদায়কভাবে তার পরিচিত পরিবেশের মতো গোসল করতে পারবে।
এটি এমনকি ক্যাম্পিং বা রোড ট্রিপের সময়েও কার্যকর হতে পারে।
আরও: শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্দেশ্য
১৬. শিশুর স্বাস্থ্য সনদপত্র ও বীমা
ভ্রমণের সময় আপনি যদি বিদেশে যান, তবে শিশুর স্বাস্থ্য সনদপত্র এবং বীমার কাগজপত্র সাথে রাখা জরুরি। কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে শিশুর মেডিকেল রেকর্ড প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে, শিশুর যদি কোনো নির্দিষ্ট অসুস্থতা বা অ্যালার্জি থাকে, তাহলে এই কাগজপত্র খুবই প্রয়োজনীয়। ভ্রমণ বীমা করার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে বীমার আওতায় শিশুর চিকিৎসা ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
১৭. শিশুদের জন্য প্লে ম্যাট বা ব্ল্যাঙ্কেট
ভ্রমণের সময় শিশুদের কোথাও খেলতে বা আরাম করতে দিলে একটা পরিচ্ছন্ন জায়গা প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য একটি পোর্টেবল প্লে ম্যাট বা ব্ল্যাঙ্কেট রাখা ভালো। এটি শিশুর খেলার জায়গা হিসেবে কাজ করবে, বিশেষ করে যদি আপনি পার্কে বা খোলা জায়গায় কোনো সময় কাটান।
এছাড়া, ব্ল্যাঙ্কেট শিশুকে শীত থেকে রক্ষা করতে বা প্রয়োজন হলে তাকে মুড়িয়ে রাখতে কাজ করবে।
১৮. পানিরোধী ব্যাগ
ভ্রমণের সময় শিশুদের জামা-কাপড় বা অন্যান্য জিনিসপত্র ভিজে যেতে পারে। তাই পানিরোধী ব্যাগ সাথে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ভেজা বা নোংরা কাপড় আলাদা করে রাখা যায়, যা পরে ধোয়ার জন্য নেওয়া হবে। এ ধরনের ব্যাগ বহন করা খুবই সহজ এবং এটি যেকোনো পরিবেশে কাজে লাগে।
১৯. বেবি মনিটর (যদি প্রয়োজন হয়)
যদি আপনি এমন কোনো জায়গায় থাকেন যেখানে শিশুকে কিছুক্ষণ একা রেখে যেতে হবে, তখন একটি বেবি মনিটর খুব কাজে আসতে পারে। বেবি মনিটর ব্যবহার করে আপনি শিশুর সক্রিয়তা মনিটর করতে পারবেন এবং কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।
২০. হ্যান্ডি চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক
ডিজিটাল ডিভাইস, খেলনা এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেটগুলো চার্জ করতে পাওয়ার ব্যাংক বা হ্যান্ডি চার্জার রাখা উচিত। ভ্রমণের সময় হয়তো সবসময় চার্জ দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে না, তাই একটি পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে গেলে এসব ডিভাইসের চার্জ ফুরিয়ে গেলেও আপনি সেগুলো চালু রাখতে পারবেন।
২১. বিশেষ খাদ্য বা ফর্মুলা
যদি শিশুটি এখনো ফর্মুলা দুধ খেয়ে থাকে, তাহলে পর্যাপ্ত ফর্মুলা দুধের প্যাকেট সাথে নেওয়া জরুরি। শিশুর খাদ্য রুটিন যাতে ভ্রমণের সময়ও ঠিক থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, যদি কোনো নির্দিষ্ট ধরনের খাদ্য প্রয়োজন হয়, যেমন কোনো অ্যালার্জি বা বিশেষ খাদ্যাভ্যাসের কারণে, তাহলে সেই খাদ্য ভ্রমণের আগে সঠিকভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে।
২২. ট্র্যাভেল পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড
যদি আপনি বিদেশে ভ্রমণ করেন, তাহলে শিশুর পাসপোর্ট এবং আইডি কার্ড অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। সবসময় যেকোনো চেকপয়েন্টে বা জরুরি অবস্থায় আইডি দেখানোর প্রয়োজন হতে পারে। তাই শিশুদের ডকুমেন্টগুলো সহজে বহনযোগ্য এবং নিরাপদ স্থানে রাখা উচিত।
২৩. শিশুর পছন্দের গল্পের বই
শিশুরা ভ্রমণের সময় অনেক সময় বই পড়তে পছন্দ করে। তাদের পছন্দের গল্পের বই সাথে রাখলে দীর্ঘ ভ্রমণকালীন সময়টা কাটানো সহজ হয়ে যায়। বই পড়া শিশুর মনোযোগ ধরে রাখার এবং তাকে চুপচাপ রাখার একটি ভালো উপায়।
শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করা একটু চ্যালেঞ্জিং হলেও সঠিক প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে থাকলে অভিজ্ঞতাটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ভ্রমণের আগে একটি সঠিক পরিকল্পনা করা এবং শিশুদের আরাম ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই তালিকার প্রতিটি বিষয় আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক এবং স্মরণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করি। তাই পরবর্তী ভ্রমণে এইসব জিনিসপত্র নিতে ভুলবেন না, আর আপনাদের ভ্রমণ হউক নিরাপদ ও আনন্দময়।
ফেসবুক: ফেসবুক