ডাইনো পার্ক (Dino Park) বা ডাইনোসর পার্ক বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ির জামমূড়ায় অবস্থিত। ডাইনো পার্ক জামমূড়ায় লালমাই পাহাড়ে প্রায় ১২ একর জায়গার নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
আজকের পোস্টে আমরা কুমিল্লার ডাইনো পার্ক নিয়ে জানার চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক…


আরও: জাহাপুর জমিদার বাড়ি
ডাইনো পার্ক ভ্রমণ
ভ্রমণ স্থান | ডাইনো পার্ক (ডাইনোসর পার্ক) |
ধরন | পার্ক |
অবস্থান | জামমূড়া, কোটবাড়ি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম |
প্রবেশ ফি | ২০০ টাকা ( ডাইনো জোন সহ) |
খোলা থাকে | সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা (প্রতিদিন) [🔔 কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকতে পারে] |
পিকনিকের ব্যবস্থা আছে | হ্যাঁ |
পার্কিং ব্যবস্থা আছে | হ্যাঁ |
ঢাকা থেকে দূরত্ব | প্রায় ১০৯ কিলোমিটার |
হেল্পলাইন | +88 01873-200175 |
ডাইনো পার্কের সঠিক নাম হচ্ছে ডাইনোসর পার্ক! ডাইনোসর পার্ক নাম হলেও ডাইনো পার্ক নামে সবাই সবার কাছে পরিচিত। পার্কের উচ্চতা সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৪৫ ফুট।


আরও: রূপসা জমিদার বাড়ি
কি আছে ডাইনো পার্কে
আপনি ডাইনোসর পার্কে ভ্রমণে আসলে দেখতে পাবেন যে, প্রায় ১২ একর জায়গা পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে আছে। এছাড়া থিম পার্কে হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া ডাইনোসরেরা চলাফেরা করছে!
পার্কের প্রধান আকর্ষন ডাইনো জোন। ডাইনো জোনে যেতে হলে আপনাকে রংধনু সিঁড়ির ৪০ ধাপ বেয়ে টিলায় উঠতে হবে। ডাইনোসর গুলোর মটরাইড নড়াচড়া ও গর্জন করে দর্শনার্থীদের আনন্দ দিয়ে থাকে।


এই পার্ক টি মূলত বাচ্চা বা শিশুদের জন্য চমৎকার আনন্দদায়ক। এখানে রয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা। এছাড়াও আছে রোলার কোষ্টার, বাম্পার কার, প্যারিস হুইল, ড্রাগন কোস্টার, অক্টোপাস, মেরিগো রাউন্ড সহ বেশকিছু আকর্ষণীয় রাইড। শিশদের জন্য আছে কিডস জোন।


খাওয়ার জন্য রয়েছে দ্যা হিল ক্যাফে রেস্টুরেন্ট। আর সাথে কার পার্কিং এবং পিকনিক আয়োজনের সকল ব্যবস্থা তো রয়েছেই। লালমাইয়ের চোখ বা Eye Of Lalmai হলো ডাইনো পার্কের প্যারিস হুইল। আপনি প্যারিস হুইলের ১০০ ফুট উচ্চতা থেকে লালমাই পাহাড়ের অনন্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।


আরও: তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক
প্রবেশ ফি ও সময়সূচি
ডাইনো পার্ক প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে কোন সাপ্তাহিক বন্ধ নেই। [🔔 কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকতে পারে]
ডাইনো জোন সহ ডাইনো পার্কের প্রবেশ ফি জনপ্রতি ২০০ টাকা দিতে হবে। এছাড়া বড়দের জন্য বিভিন্ন রাইড ফি ১০০ টাকা এবং বাচ্চাদের জন্য ৫০ টাকা ফি দিতে হয়। তাছাড়া আপনি এখানে বছর জুড়ে প্রবেশ ও রাইড সহযোগে বিভিন্ন প্যাকেজ এবং অফার পাবেন।
কিভাবে যাবেন
আপনি বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে এখানে ভ্রমণে আসতে পারেন। রাজধানী ঢাকা থেকে এখানে ভ্রমণে আসতে চাইলে ঢাকার কমলাপুর থেকে বাসে কুমিল্লা টমছম ব্রীজগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট, তিশা প্লাস অথবা এশিয়া এয়ার কন, রয়েল কোচ, প্রিন্স দিয়ে সরাসরি কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড চলে আসতে পারেন।
ভাড়া: বাস ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা নিতে পারে।
কোটবাড়ি বিশ্বরোড নেমে সেখান থেকে এটোরিক্সা বা CNG রিজার্ভ নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পার হয়ে পার্কে চলে আসতে পারেন।
ঢাকা থেকে ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেনে করে যেতে পারবেন। তবে, সুবর্ণা ও সোনার বাংলা বাদে প্রায় সকল ট্রেনই কুমিল্লা স্টেশনে থামে। টিকিট কাটার আগে জেনে নিবেন যে ট্রেন কুমিল্লা স্টেশনে থাকবে কিনা।
ভাড়া: ট্রেন ভাড়া ১৮০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা নিতে পারে।
কোথায় খাবেন
পার্ক ভ্রমণে গিয়ে খাওয়ার জন্য দ্যা হিল ক্যাফে রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন। তবে এখানে খাবারের দাম তুলনা মূলক বেশি তাই চাইলে কোটবাড়ি বা কুমিল্লা শহরে এসে খেতে পারেন। এখানে অনেক হোটেল রয়েছে।
আর কুমিল্লার বিখ্যাত খাবার রসমালাই। তাই কুমিল্লা ভ্রমণে আসল মাতৃভান্ডারের রসমালাই খেতে ভুলবেন না।
আরও: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবারের তালিকা
কোথায় থাকবেন
পার্ক ভ্রমণে গিয়ে থাকার জন্য জামমূড়ায় কোন হোটেল পাবেন না। যদিও এই স্থানটি একদিনের ভ্রমণের জন্য তারপরও যদি থাকতে চান তাহলে আপনাকে কুমিল্লা শহরে যেতে হবে।
কুমিল্লা শহরে থাকার জন্য অনেক হোটেল পাবেন। কুমিল্লা ক্লাব, কুমিল্লা সিটি ক্লাবসহ বেশকিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে এখানে। ভাড়া ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
ফেসবুক: Kuhudak