বড় সোনা মসজিদ (Boro Sona Masjid) ভারতের গৌড়ে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য, যা সুলতানি যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এটি হোসেন-শাহ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত এবং একে গৌড়ের সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মসজিদটির নির্মাণশৈলী ও ইতিহাস, সেইসাথে এর নামকরণ, অলংকরণ এবং ভেতরের বিশাল কাঠামো একে বিশেষভাবে পৃথক করে তুলেছে।
নির্মাণকাল এবং ইতিহাস
বড় সোনা মসজিদটির নির্মাণকাল সঠিকভাবে জানা যায় না, তবে মেজর ফ্রাঙ্কলিনের অনুসন্ধান অনুসারে, ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মিত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। কিছু প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, এটি সুলতান নাসিরুদ্দিন নুসরত শাহের শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে পাওয়া শিলালিপির মধ্যে নির্মাণের তারিখের ব্যাপারে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে, তবে মসজিদের নির্মাণ শৈলী এবং স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য সুলতানি যুগের নিদর্শন হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নামকরণ
বড় সোনা মসজিদটির গম্বুজের উপরের সোনালি রঙের আস্তরণের কারণে একে “সোনা মসজিদ” বলা হয়। গৌড় নগরীর উপকণ্ঠে ফেরোজপুর গ্রামে আরও একটি ছোট সোনা মসজিদ ছিল, যা আকারে ছোট ছিল। তাই বড় মসজিদটি “বড় সোনা মসজিদ” নামে পরিচিত হয় এবং ছোটটি “ছোট সোনা মসজিদ” নামে পরিচিত।
বহির্ভাগ এবং স্থাপত্য
বড় সোনা মসজিদের মূল ভবনটি একটি বিশাল চতুষ্কোণ আঙিনায় অবস্থিত, যার পরিমাপ ২০০ ফিটx২০০ ফিট। মসজিদের চারপাশে দুটি প্রধান তোরণ রয়েছে এবং এর সম্মুখ ফ্যাসাদটি ধনুক আকৃতির। মসজিদটির চার কোণায় এবং কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি বুরুজ রয়েছে, যা তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এর ভিতরের প্রার্থণালয়ে তিনটি আইল এবং এগারটি সারি রয়েছে।
অলংকরণ এবং আভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য
বড় সোনা মসজিদে অলংকরণ বেশ সাদামাটা হলেও এটি তার বিশাল আয়তন এবং গাম্ভীর্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। মসজিদের গম্বুজ এবং মিহরাবগুলো বেশ সাদাসিধে, কিন্তু স্থাপত্যের শৈলী নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। মসজিদের আঙিনা ও করিডোরের মাধ্যমে প্রার্থণালয়ে প্রবেশ করা হয় এবং সেখান থেকে সিঁড়ি দিয়ে জেনানা মহলে ওঠা যায়।
ভ্রমণকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা
যেকোনো ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের সময়, অনেকেই দীর্ঘ সময় বাসে বা গাড়িতে যাত্রা করেন, যা পেটে গ্যাস জমার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে গাড়ির যাত্রীদের মধ্যে অনেক সময় বমি বা অস্বস্তি অনুভূত হয়। এর জন্য, রেনিক্স কেয়ার এর হাজমিনা প্লাস সিরাপ অত্যন্ত উপকারী। এই সিরাপটি গ্যাস নির্মূল করতে সাহায্য করে এবং পেটের অস্বস্তি কমাতে কার্যকর।
ভ্রমণের সময় যদি আপনার পেটে গ্যাস জমে কিংবা বমির উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে হাজমিনা প্লাস আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত সমাধান হতে পারে। এটি দ্রুত কার্যকর এবং পেটের সমস্যা দ্রুত প্রশমিত করতে সহায়ক।
বড় সোনা মসজিদ, এর ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্যিক গুরুত্বের কারণে, একটি অনন্য স্থান। ভ্রমণকারী বা ইতিহাসপ্রেমীরা এই স্থাপত্যকে অবশ্যই উপভোগ করবেন। আর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য, রেনিক্স কেয়ার এর হাজমিনা প্লাস সিরাপ আপনার ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক এবং নিরাপদ করে তুলতে সাহায্য করবে।
ফেসবুক: কুহুডাক
রেনিক্স কেয়ার
আপনি চাইলে গেস্ট পোস্ট করতে পারেন। এখান থেকে: গেস্ট পোস্ট করুন । ধন্যবাদ