ভাটপাড়া নীলকুঠি (Bhatpara Neelkuthi) বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজলা নদীর তীরে অবস্থিত। নীলকুঠির কথা মনে আছে আপনার? ব্রিটিশ শাসনামলে এদেশে নীল চাষ পরিচালনার জন্য ইংরেজরা বিভিন্ন স্থানে কুঠি গড়ে তোলে ছিল যা নীলকুঠি নামে সবার কাছে পরিচিত।
আজকের পোস্টে আমরা মেহেরপুরের ভাটপাড়া নীলকুঠি নিয়ে জানার চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক…
আরও: তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ
ভাটপাড়া নীলকুঠি ভ্রমণ
ভ্রমণ স্থান | ভাটপাড়া নীলকুঠি |
ধরন | নীলকুঠি |
অবস্থান | গাংনী, মেহেরপুর, খুলনা |
স্থপতি | ১৮৫৯ সাল |
আয়তন | ২৭ একর |
ঢাকা থেকে দূরত্ব | ২৬৫ কিলোমিটার (প্রায়) |
ড্রোন উড়ানো যাবে | হ্যাঁ |
মেহেরপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে গাংনী উপজেলার কাজলা নদীর তীরে ব্রিটিশদের নির্মম নির্যাতনের সাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে আছে ভাটপাড়া নীলকুঠি। নীলকুঠি ২৭ একর জায়গা জুড়ে ১৮৫৯ সালে নির্মাণ করা হয়।
আরও: সুন্দরবন
ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলী
ভাটপাড়া নীলকুঠির ইতিহাস ও স্থাপত্য শৈলী সম্পর্কে জানা যায় যে, ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থের বিশাল এই স্থানের আয়তন ২৭ একর। ১৮৫৯ সালে নীল চাষের জন্য এই স্থানটি নির্মান করা হয়েছিল।
নীলকুঠিটি ইট চুন সুরকি দিয়ে নির্মান করা হয়েছে তবে, ছাদে লোহার বীম ও ইটের টালি দিয়ে বানানো হয়েছে। ভ্রমণে গিয়ে আপনি ভবনের সামনে একটি আমবাগান ও দক্ষিণ পাশে নীল কুঠির কর্মকর্তাদের প্রার্থনার জন্য চার্চের ভগ্নাংশ দেখতে পাবেন। এছাড়া, বর্তমানে মূল ভবন ছাড়াও সাহেবদের প্রমোদ ঘর, শয়নকক্ষ, কাচারি ঘর, জেলখানা, মৃত্যুকূপ ও ঘোড়ার ঘর টিকে রয়েছে।
লোকে মুখে জানা যায় যে, গভীর রাতে নীলকুঠি থেকে নর্তকীদের নূপুরের আওয়াজ ও চাষিদের আর্তনাদ শোনা যায়! সরকারী উদ্যোগে ২০১৬ সালে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কৃত্রিম লেক, ঝর্ণা, বিভিন্ন পশু পাখির দৃষ্টিনন্দন মূর্তি, কিডস জোন ও আকর্ষণীয় ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। যা ভ্রমণকারীদের এখানে ভ্রমণের প্রতি আরও আগ্রহ বাড়িয়ে তুলে।
আরও: শেখ মাহমুদ শাহ মসজিদ
কিভাবে যাবেন
আপনি দেশের যে কোন স্থান থেকে এখানে ভ্রমণে আসতে পারেন। রাজধানী ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসতে চাইলে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে জেআর, শ্যামলী, এস এম, রয়েল এক্সপ্রেস, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর ডিলাক্স বাসে মেহেরপুর আসতে পারবেন।
ভাড়া: নন-এসি ও এসি বাসে ভাড়া নিতে পারে ৬০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা।
মেহেরপুর নেমে স্থানীয় পরিবহণে ভাটপাড়া নীলকুঠিতে যেতে পারবেন।
কোথায় খাবেন
ভাটপাড়া নীলকুঠি ভ্রমণে গিয়ে খাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর হাইওয়ের কাছে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট পাবেন। মেহেরপুর জেলার বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে অবশ্যই সাবিত্রী ও রসকদম্ব মিষ্টির স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন।
আরও: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবারের তালিকা
কোথায় থাকবেন
মেহেরপুরে থাকার জন্য ছোট বড় বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। আপনি আপনার চাহিদা বা পছন্দ অনুযায়ী হোটেল নাইট বিলাস, হোটেল অনাবিল, সোহাগ গেস্ট হাউজ, হোটেল প্রিন্স, হোটেল মিতা, হোটেল ফিন টাওয়ার, হোটেল শাহজাদী, হোটেল আটলান্টিকার যে কোন টাতে থাকতে পারবেন।
ফেসবুক: Kuhudak