বাংলাদেশ (Bangladesh) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সুন্দর দেশ, যা প্রকৃতি, ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতিতে ভরপুর। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত এই দেশটি তার সবুজ প্রান্তর, চিরসবুজ বন, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন, কক্সবাজারের বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এবং পাহাড়ি অঞ্চলগুলোর জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং বর্ণিল উৎসবগুলি বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এটি একটি ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রকৃতির মেলবন্ধনের দেশ।
রাজধানী
রাষ্ট্র ভাষা
সাংবিধানিক নাম
আয়তন
ডায়ালিং কোড
জনসংখ্যা
আন্তর্জাতিক সময় অঞ্চল
মুদ্রা
বিভাগ
জেলা
উপজেলা
ইউনিয়ন
গাড়ী চালনার দিক
আবহাওয়া
আইএসও ৩১৬৬ কোড
রাষ্ট্রধর্ম ধর্ম
বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ
আষাঢ়, শ্রাবণ
ভাদ্র, আশ্বিন
কার্তিক, অগ্রহায়ণ
পৌষ, মাঘ
ফাল্গুন, চৈত্র
জাতীয় পোশাক
জাতীয় ফুল
জাতীয় পাখি
জাতীয় প্রাণী
জাতীয় পঞ্জিকা
জাতীয় ফল
জাতীয় মাছ
জাতীয় খেলা
জাতীয় পতাকা
পর্বত
জাতীয় মন্দির
জাতীয় মসজিদ
জাতীয় নদী
জাতীয় বন
জাতীয় বৃক্ষ
জাতীয় কবি
আপনি যদি একসাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী স্থান, পর্যটন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংস্পর্শ পেতে চান তাহলে বাংলাদেশ ভ্রমণ করুন। বাংলাদেশ ভ্রমণে যে কোন প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনার সেবায় প্রস্তুত। আমাদের সাথে যোগাযোগের জন্য ইমেইল করতে পারেন বা ডিরেক্ট হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাতে পারেন।
শীতকাল, অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময়ে আবহাওয়া আরামদায়ক থাকে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকে। তবে চাইলে আপনি বছরের অন্যান্য সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। অফ সিজনে ভ্রমণ করলে আপনার ভ্রমণ খরচ কম হবে।
ঢাকা বা চট্টগ্রামের বিমানবন্দর দিয়ে ভ্রমণ শুরু করা সবচেয়ে সহজ। সেখান থেকে দেশব্যাপী ট্রেন, বাস বা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের মাধ্যমে অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।
বাংলাদেশ সাধারণত পর্যটকদের জন্য নিরাপদ। তবে ব্যস্ত এলাকা এবং পাবলিক পরিবহনে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। স্থানীয় গাইডের সাহায্য নিলে ভ্রমণ আরও সহজ এবং নিরাপদ হয়। তবে যে কোন প্রয়োজনে হেল্প এর জন্য বাংলাদেশের জরুরী নাম্বার ৯৯৯ এ কল দিতে পারেন।
সুন্দরবন, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, বান্দরবানের নীলগিরি, রাঙামাটির কাপ্তাই লেক এবং ঢাকার আহসান মঞ্জিল ও লালবাগ কেল্লা বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ধর্ম ইসলাম। বাংলাদেশ একটি রক্ষণশীল দেশ, তাই পরিপাটি এবং শালীন পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ করে মসজিদ বা মন্দির ভ্রমণের সময় শরীর ঢেকে রাখা পোশাক পরা উচিত।
ইলিশ মাছ, চিংড়ি মালাইকারি, ভর্তা, রসগোল্লা, বগুড়ার দই, ফুচকা এবং চটপটির মতো জনপ্রিয় খাবার অবশ্যই খেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠাও অত্যন্ত সুস্বাদু।
বাংলাদেশে বিমান, বাস, ট্রেন, মেট্রোরেল, রিকশা, সিএনজি এবং নৌযানের মাধ্যমে সহজেই যাতায়াত করা যায়। শহরগুলোতে রিকশা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয়।
হ্যাঁ, বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিকের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে ভিসা প্রয়োজন। তবে কয়েকটি দেশের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা রয়েছে। ভ্রমণের আগে বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং উইকিপিডিয়া