ভ্রমণে আপনার অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যাকআপ নিবেন কিভাবে এই নিয়ে আজকের ভ্রমণ টিপস।
ভ্রমণে আপনার মোবাইল যদি কেউ চুরি করে নিয়ে যায় অথবা ময়লা ড্রেনে পড়ে যায় তাহলে এটা ফিরিয়ে আনা খুবই কষ্টকর বা অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। এটা খুবই কষ্ট দায়ক এবং ভয়ংকরও বটে। তবে, এর চেয়ে আরও বেশি ভয়ংকর হচ্ছে যদি আপনার ফোনে থাকা তথ্য গুলো অন্য কেউ পেয়ে যায়।
আমাদের ব্যাবহারিত মোবাইল বা ক্যামেরা অথবা এই জাতীয় ডিভাস গুলো আমাদের কাছে যেমন মূল্যবান তেমনি এর ভিতরে থাকা ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য তথ্য গুলো আরও বেশি মূল্যবান।
যারা ভ্রমণ করে থাকেন তারা জানেন যে, কোথাও ভ্রমণে গিয়ে সেখানে তোলা ছবি, ভিডিও গুলো একজন ভ্রমণ কারীর কাছে কতটা মূল্যবান। আর এগুলো যদি হারিয়ে যায় তাহলে খুবই কষ্ট লাগে।
তাই ভ্রমণে যাওয়ার আগে জেনে নিন ভ্রমণে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো ব্যাকআপ রাখবেন কিভাবে। আজকের পোস্টঃ ভ্রমণে আপনার অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যাকআপ নিবেন কিভাবে।
চলুন শুরু করা যাক…
৭টি জীবন রক্ষাকারী ভ্রমণ হ্যাক টিপস পড়েছেন কি?
ভ্রমণে আপনার অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যাকআপ নিবেন কিভাবে
প্রতিদিন একবার আপনার মোবাইল চার্জ করুণ
প্রথমে আসি ব্যাটারি ব্যাকআপ এর কথায়। ভ্রমণে প্রতিদিন একবার আপনার মোবাইল চার্জ করুণ। অনেকে আছেন খুব বেখেয়ালি। তারা শুরু মোবাইল টিপতেই থাকেন যখন মোবাইল এর চার্জ ৫% তখনও তাদের টিপা বন্ধ হয় না।
মোবাইল যখন ০% হয়ে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায় তখন চার্জের কথা ভাবেন! এটা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়। কারন, মোবাইল যখন ২০% অথবা ১৫% এর নিচে নেমে আসে তখনই আপনার মোবাইলটি চার্জ দেয়া প্রয়োজন। তা না হলে আপনার মোবাইল এর ব্যাটারি খুব দ্রুত আয়ুকাল হারাবে।
বার বার মোবাইল ০% এ নামিয়ে এনে চার্জ দেয়া ঠিক নয়। আবার অনেকে ৫০% এর নিচে নেমে এলেই মোবাইল চার্জ দেয়া শুরু করেন এটাও ঠিক নয়। এতেও মোবাইল এর আয়ুকাল কমে যেতে পারে। ফলে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত মেমরি কার্ড সাথে রাখুন
ভ্রমণে অতিরিক্ত মেমরি কার্ড সাথে রাখুন। অতিরিক্ত মেমরি কার্ড এর কথা শুনে নিশ্চয়ই বুজে গেছেন ভ্রমণে কেন এটা প্রয়োজন।
আমাদের মোবাইলে সীমাবদ্ধ জায়গা থাকে। ৮ জিবি, ১৬ জিবি, ৩২ জিবি, ৬৪ জিবি এবং ১২৮ জিবি পর্যন্ত স্পেস থাকে।
ভ্রমণে অনেক সময় এই স্পেসে হয়ে উঠে না। বিশেষ করে যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য ভ্রমণে যাই তখন এই সমস্যায় বেশি পড়ে থাকে। তাই ভ্রমণে সাথে একটি বা দুটি অতিরিক্ত মেমরি কার্ড সাথে রাখুন।
আপনি যে কোন মোবাইল দোকানে গেলেই মেমরি কার্ড কিনতে পারবেন।
ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করুন
ভ্রমণে আপনার তথ্য সংরক্ষণ / ব্যাকআপ করে রাখার জন্য ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। যদিও ক্লাউড সার্ভিসে নিরাপরত্তার বিষয়টা রয়েই যায়।
ইদানীং ইন্টানেটে বেশ কিছু ক্লাউড প্রোভাইডার ক্লাউড সার্ভিস দিয়ে থাকে। তার জন্য অবশ্য আপনাকে মাসিক অথবা বাৎসরিক একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে সাবস্ক্রিপশন করতে হবে।
তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে পরামর্শ দিব আপনি গুগল ড্রাইভ (Google Driver) অথবা আই ক্লাউড ( iCloud) ব্যাবহার করতে পারেন।
গুগল ড্রাইভ ফ্রি স্পেসঃ ১৫ জিবি।
আই ক্লাউড ফ্রি স্পেসঃ ৫ জিবি।
আরও: ভ্রমণে যে ৫টি ইলেক্ট্রনিক্স এক্সেসরিজ সাথে থাকা প্রয়োজন
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন
ভ্রমণে আপনার ডাটা ব্যাকআপ রাখার জন্য ফ্রি অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহার করতে পারেন। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য প্লে স্টোর এবং আই ফোন এর জন্য এপস স্টোরে বেশ কিছু ফ্রি এপস পাওয়া যায় যারা আপনাদের জন্য ফ্রি এবং পেইড ক্লাউড সার্ভিস দিয়ে থাকে।
তবে বার বারই বলছি প্রাইভেসি বা নিরাপরত্তার বিষয়টা ভেবে দেখবেন। এই বিষয়ে আমার কোন কথা নেই। কোন সার্ভিস ব্যাবহার করবেন সেটা একমাত্র আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্য ক্লাউড স্টোরেজ গুলো
অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্য জনপ্রিয় ক্লাউড স্টোরেজ গুলোর সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। নিচে দেয়া এই ক্লাউড স্টোরেজ গুলো ফ্রি এবং পেইড দুই ভাবেই নিতে পারেন।
ক্লাউড প্রোভাইডার | ফ্রি স্পেস | ডিভাইস |
---|---|---|
ড্রপবক্স | ২ জিবি | অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস |
গুগল ড্রাইভ | ১৫ জিবি | অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস |
মেগা | ৫০ জিবি | অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস |
আই ড্রাইভ | ৫ জিবি | অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস |
মাইক্রোসফট ওয়ানড্রাইভ | আনলিমিটেড | অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস |
বক্স | ১০ জিবি | অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস |
আমাজন ড্রাইভ | ৫ জিবি | অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস |
ভ্রমণ টিপস গুলো দেখুন এখানে।
ফেসবুক: Kuhudak