ওমরাহ কাকে বলে? ওমরাহ (Umrah) একটি ইসলামিক ইবাদত যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হজের মতোই পবিত্র, তবে হজের বাধ্যবাধকতা ও নির্দিষ্ট সময়সীমা ওমরাহতে নেই। ওমরাহকে ‘ছোট হজ’ বা ‘স্বেচ্ছামূলক হজ’ বলা হয়। এটি সারা বছর যেকোনো সময় পালন করা যায়, তবে হজের সময় (জিলহজ্জ মাসের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে) ওমরাহ পালন করা যায় না।
আরও: সৌদি আরবের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান
ওমরাহ কাকে বলে
ওমরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত ইবাদত, যা হজের অনুরূপ হলেও স্বতন্ত্র। এটিকে “হজে আসগার” বা “ছোট হজ” বলা হয়। “ওমরাহ” শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ভ্রমণ বা জিয়ারত করা।
ওমরাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ভ্রমণ করা বা জিয়ারত করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশার ইহরাম বাঁধা অবস্থায় বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাঈ করার পর মাথার চুল কেটে ফেলার আনুষ্ঠানিকতাকেই ওমরাহ পালন করা বলা হয়।
ওমরাহর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম
ওমরাহ পালনের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করতে হয়:
- ইহরাম গ্রহণ: ওমরাহ শুরু করার আগে নির্ধারিত মীকাত থেকে ইহরাম পরিধান করতে হয়। ইহরাম নেওয়ার সময় নির্দিষ্ট নিয়ত করতে হয় এবং ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা উমরাহ’ পড়তে হয়।
- তাওয়াফ: মক্কায় পবিত্র কাবা শরীফের চারপাশে সাতবার ঘূর্ণায়মান তাওয়াফ করতে হয়। এটি ওমরাহর প্রধান অংশ।
- সাঈ: তাওয়াফ শেষ করার পর সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড় বা হাঁটা হয়। এটি হযরত হাজেরা (আ.)-এর পানি খোঁজার স্মরণে পালন করা হয়।
- হালক বা কসর: ওমরাহর শেষ ধাপে পুরুষদের মাথা মুন্ডন (হালক) বা ছোট করে চুল কাটতে হয় (কসর)। নারীদের জন্য সামান্য চুল কাটা বাধ্যতামূলক।
আরও: আল-উলা কেন বিখ্যাত
ওমরাহর গুরুত্ব ও ফজিলত
ওমরাহ পালনকারীর জন্য অনেক সওয়াব রয়েছে। হাদিস অনুযায়ী, ওমরাহ পূর্ববর্তী পাপ মোচন করে এবং এটি দারিদ্র্য ও পাপ দূর করে। এছাড়া ওমরাহ পালনের মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পান।
ওমরাহ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা হজের মতোই ফজিলতপূর্ণ। এটি পালন করে একজন মুসলমান আত্মিক শান্তি লাভ করেন এবং আল্লাহর রহমতের অংশীদার হন। যারা সামর্থ্যবান, তাদের জীবনে অন্তত একবার ওমরাহ পালন করা উচিত।
ফেসবুক: কুহুডাক