প্রায় ২২০ বছর পুরনো গজরা জমিদার বাড়ি (Gajra Jamidar Bari) ভ্রমণ করে আসলাম। এটি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের টর্কি এওয়াজ গ্রামে অবস্থিত। ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মতলব উত্তরের প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এই জমিদার বাড়ির পাশেই অবস্থিত।
চলুন গজরা জমিদার বাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক…
আরও: লুধুয়া জমিদার বাড়ি
গজরা জমিদার বাড়ি – মতলব উত্তর, চাঁদপুর
ভ্রমণের স্থান | গজরা জমিদার বাড়ি |
ধরন | জমিদার বাড়ি |
আনুমানিক বয়স | ২২০ বছর |
অবস্থান | মতলব উত্তর, চাঁদপুর |
ঠিকানা | টর্কি এওয়াজ, গজরা ইউনিয়ন |
স্বত্বাধিকারী | সরকার বাড়ি |
ইতিহাস
জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ২২০ বছর পূর্বে গজরা ইউনিয়নের টর্কি এওয়াজ গ্রামে গজরা জমিদার বাড়ির যাত্রা শুরু হয়।
তবে গজরা জমিদার বাড়ির ইতিহাস ঘেটে যতটুকু জানা যায় তা হল, অক্ষয় চন্দ্র সরকার এই গজরা জমিদার বাড়ির একজন প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন।
১৯২৬ সালে অক্ষয় চন্দ্র সরকার মারা যাবার পর সুরেন্দ্র সরকার ১৯২৬ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত গজরা জমিদার বাড়ির জমিদারিত্ব করেন। এরপর পূর্ব রায়েরদিয়া গ্রামের সলিমুদ্দিন সরকার ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত জমিদারি কার্য পরিচালনা করেন।
আরও: ৪০০ বছরের পুরনো ১ গম্বুজ মসজিদ
এছাড়া এই জমিদার বাড়ির জমিদার হিসেবে আরও ছিলেন: গঙ্গাই সরকার।
আরও পড়ুন: নাউরী মন্দির ও রথ
গজরা জমিদার বাড়ি ভ্রমণ
আমি এবং মোফাজ্জেল গজরা জমিদার বাড়ি ভ্রমণে গিয়েছি মোটরসাইকেলে করে। জমিদার বাড়ি যেতে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই ভালো। পাকা রাস্তা। এটি চাঁদপুর থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
লুধুয়া জমিদার বাড়ি ভ্রমণে গিয়ে আমরা এই গজরা জমিদার বাড়িটিও ভ্রমণ করে এসেছি। লুধুয়া জমিদার বাড়ি থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার।
জমিদার বাড়ির পাশেই রয়েছে ৯২ নং গজরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় এর পাশে গাড়ি রেখে আমরা জমিদার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলাম।
আরও: নেদায়ে ইসলাম
গজরা জমিদার বাড়ির বর্তমান অবস্থা
জমিদার বাড়িতে প্রবেশ করেতো আমরা অবাক। একি, জমিদার বাড়ি কই! আমরা কি ভুল জায়গায় চলে আসলাম!!
কিন্তু না। একজন মহিলা আমাদের দেখে এগিয়ে আসলেন। আমরা জমিদার বাড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি আমাদের বললেন, আজ থেকে ৩ বছর আগে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারনে জমিদার বাড়িটি ভেঙ্গে গিয়েছে!
তিনি আমাদের আরও বললেন, জমিদার বাড়িটি ২ তলা বিশিষ্ট ছিল। জমিদারের এই একটি বাড়িই অবশিষ্ট ছিল। সেটিও অনেক জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল।
পরিচর্যার অভাবে গজরা জমিদার বাড়ির শেষ স্থাপনা টুকুও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যায়নি।
আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই যে, যে জায়গাটিতে জমিদার বাড়িটি ছিল সেখানে এখন নতুন করে বিল্ডিং তোলা হয়েছে। আর জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ পরে আছে ঠিক তার পাশেই।
আরও: শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ
দিঘি
গজরা জমিদার বাড়ির পাশেই একটি বড় দিঘি রয়েছে। যেটি বর্তমানে মাছ চাষের জন্য ব্যাবহার করা হয়।
ফেসবুক: Kuhudak
আমি এই লেখাটি উইকিপিডিয়াতে দিয়ে দিয়েছি।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আশাকরি অনেকের উপকারে আসবে।