লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ – মৌলভীবাজার, সিলেট। মৌলভীবাজার জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যে দর্শনীয় স্থানটি রয়েছে সেটি এই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
চলুন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ করে দেখি। তবে তার আগে আপনি যদি শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ – মৌলভীবাজার, সিলেট লেখাটি না পড়ে থাকেন তাহলে আগে লেখাটি পড়ে আসুন। তারপর এখানে বাকি অংশটুকু পরবেন।
আশাকরি আপনি লেখাটি পড়ে এসেছেন। তো, চলুন শুরু করা যাক…
একনজরে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
ভ্রমণ স্থান | লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান |
অবস্থান | কমলগঞ্জ উপজেলা, মৌলভীবাজার, সিলেট |
আয়তন | ১২৫০ হেক্টর |
উদ্বোধন | ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ |
বিখ্যাত | উল্লুক |
প্রবেশ মূল্য | ৫০ টাকা জনপ্রতি |
সময়সূচী
রবিবার | সাপ্তাহিক বন্ধ |
সোমবার | ০৯:০০–১৭:০০ |
মঙ্গলবার | ০৯:০০–১৭:০০ |
বুধবার | ০৯:০০–১৭:০০ |
বৃহস্পতিবার | ০৯:০০–১৭:০০ |
শুক্রবার | ০৯:৩০–১৭:০০ |
শনিবার | ০৯:০০–১৭:০০ |
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান মাধবপুর টি স্টেট যাওয়া বা আসার পথেই পরে। এটার প্রধান গেইট রাস্তার পাশেই।
আমরা সিএনজি থেকে নেমেই ৩টি টিকিট নিলাম। এখানে সিএনজি রাখার জন্য আলাদা ভাবে ৩০ টাকা দিতে হয়।
আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। এখানে বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে। তাছাড়া এটা কিন্তু বাংলাদেশে পরিচিতির দিক থেকে সুন্দরবনের পরেই এই লাউয়াছড়ার বনের অবস্থান।
বনের ভিতরে রয়েছে আধাপাকা রাস্তা। সাথে রয়েছে ছোট ছোট দোকান-পাট। এখানে একটি ছোট বার্মিজ মার্কেট ও রয়েছে। আপনি চাইলে এদের কাছ থেকে বার্মিজ পণ্য কিনতে পারবেন।
বনের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে ট্রেনের রাস্তা। আমরা সেখানে কিছু ছবি তুললাম।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এতো মোটা বাশ রয়েছে যা আমি আগে কখন দেখিনি। বাঁশের পাশাপাশি অনেক মোটা মোটা গাছ রয়েছে এখানে।
এই বনে অনেক উল্লুক রয়েছে। আপনি এদের ডাক শুনতে পাবেন। তবে, এখানে ভ্রমণের সময় সবাই একসাথে থাকার চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: জল্লাদখানা বধ্যভূমি ভ্রমণ – মিরপুর, ঢাকা
বানর থেকে সাবধান
হাটতে হাটতে বনের ভিতরে এসে আমি আর জাবেদ এটা টুল এ বসলাম বিশ্রাম নেয়ার জন্য। কিছুক্ষন পর একটা বানর এসে আমাদের ঠিক কয়েক হাত সামনের বসল।
মোহাইমিনুল এটাকে একটা চকলেট দিল। বানরটা ওর হাত থেকে চকলেটটা নিয়ে খেতে লাগল।
এরপর মোহাইমিনুল পাশে একজন এর সাথে কথা বলছি। ওনি মোহাইমিনুল কে বলছিল যে, এ সব বানর খুব খারাপ। এদের কাছে যেও না।
আমরা কিছুক্ষন পর বানরটার পাশ দিয়ে হেটে চলে আসতেছিলাম। কয়েকটা ছেলে এসে বানরটার ছবি তুলছিল।
আমি হেটে চলে আসছিলাম। পক্ষনে পিছনের দিকে শব্দ পেয়ে তাকিয়ে দেখি বানরটা জাবেদ এর পায়ের গোড়ালি ধরে কামড়াচ্ছে।
তারপর আরেকটা পা। সবাই শব্দ করে বানরটাকে সরিয়ে দিল। এরিমধ্যে বানরটা জাবেদ এর দুই পা ই কামড়িয়ে দিয়েছে।
ঘটনা কি হয়েছিল?
আমরা যখন উঠে চলে আসছিলাম। জাবেদ তার গলায় পেচানো মাফলার টা হাত দিয়ে উপরে তুলে দিচ্ছিল, আর সেটা গিয়ে বানরের গায়ে লেগেছিল। বানর ভেবেছে তাকে আক্রমণ করার জন্য এমটা করছে।
যার ফলে যা হবার তাই হল…।
পরে আমরা জাবেদ কে শ্রীমঙ্গল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।।
শ্রীমঙ্গলে শুধু যে মঙ্গল থাকে তা কিন্তু নয়। এটা মাঝে মাঝে আপনার জন্য অমঙ্গল ও হয়ে দাড়াতে পারে। তবে কেউ যদি অমঙ্গল কে ডেকে আনে তবে সেটা কি শ্রীমঙ্গল এর দোষ?
আজ আপাতত বিদায়।
ফেসবুক: Kuhudak