গোলাপ গ্রাম ভ্রমণ – সাদুল্লাপুর, বিরুলিয়া, সাভার। ভ্রমণ করে আসলাম ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রাম থেকে যা সবার কাছে গোলাপ গ্রাম (Golap Gram) নামে পরিচিত।
গোলাপ গ্রামে প্রায় ৪০ জাতের গোলাপ চাষ করা হয়। আজকের ভ্রমণে আমি সাভারের এই গোলাপ গ্রাম নিয়ে আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই ফুলের গ্রাম কে লেক আইল্যান্ড (Lake Island) বলা হয়ে থাকে।
গোলাপ গ্রাম ভ্রমণে সাথে রয়েছি আমি আপনার ভ্রমণ বন্ধু আরিফ হোসেন (GoArif) এবং আমার সাথে রয়েছেন ফেসবুকের ‘পথে প্রান্তরে’ গ্রুপের একঝাক ভ্রমণ পিপাসু বন্ধু।
চলুন গোলাপ গ্রাম ভ্রমণ করা যাক…
আরও: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
গোলাপ গ্রাম ভ্রমণ
ভ্রমণ স্থান | সাদুল্লাপুর |
পরিচিত নাম | গোলাপ গ্রাম (Rose Village) |
অবস্থান | সাদুল্লাপুর, বিরুলিয়া, সাভার |
গোলাপ চাষ শুরু হয় | ১৯৯০ সাল |
ড্রোন উড়ানো যাবে | হ্যাঁ |
মোটরসাইকেল নেয়া যাবে | হ্যাঁ |
টিকিট মূল্য | নাই |
খোলা থাকার সময় | ২৪/৭ দিন |
ঢাকা থেকে দূরত্ব | ২৪ কিঃমিঃ (প্রায়) |
গোলাপ গ্রামের ইতিহাস
প্রথমে চলুন গোলাপ গ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানা যাক। বিংশ শতকের দিকে সাভারের সাদুল্লাহপুর গ্রামটি ভাওয়াল রাজার অধীনস্থ ছিল। একসময় এই গ্রামে মানুষ শখের বসে গোলাপ চাষ করলেও বাণিজ্যিকভাবে এখানে প্রথম গোলাপ চাষ শুরু হয় ১৯৯০ সালের দিকে।
একজন দুইজন করে বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ চাষ করে লাভবান হওয়ার ফলে বর্তমানে সাদুল্লাহপুর গ্রাম সহ শ্যামপুর, মোস্তাপাড়া গ্রামজুড়ে গোলাপ চাষ করা হয়।
এই তিনটি গ্রামের আপনি যেদিকে তাকাবেন সে দিকেই দেখতে পাবেন শুধু গোলাপ আর গোলাপ। যেন গোলাপের রাজ্য।
আরও: জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান – মিরপুর
ভ্রমণ প্রস্তুতি
সচরাচর আমি একাই ভ্রমণ করে থাকি। তবে এবারের ভ্রমণ প্ল্যানটা ছিল ফেসবুক এর পথে প্রান্তরে গ্রুপের একটি ইভেন্ট কে ঘিরে। এই গ্রুপ এবং ইভেন্ট এর ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানতাম না। আমাকে এই বিষয়ে জানিয়ে জাবেদ। জাবেদ এই গ্রুপের একজন এডমিন।
জাবেদ এর অনুরোধে এই গ্রুপে যুক্ত হলাম। গোলাপ গ্রাম ভ্রমণের দিন তারিখ ঠিক হয়ে রয়েছে ইতিমধ্যে। আমি শুধু ইভেন্ট এর ‘Go’ বাটনে ক্লিক করলাম ব্যস আমার কাজ শেষ। বাকি কাজের দায়িত্ব জাবেদ নিয়ে নিল।
গোলাপ গ্রাম ভ্রমণ
গোলাপ গ্রাম ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৬টা। আমাকে জানানো হয়েছে সকাল ৬টার দিকে ভ্রমণে যেতে হবে তা না হলে গোলাপ গ্রামের চমৎকার সৌন্দর্য নাকি দেখা যাবে না। ভ্রমণ যাত্রা শুরু হবে মিরপুরের গাবতলি থেকে।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৬:২০ মিনিট। শুভসকাল। আমি ইতিমধ্যে ব্যাগ গুছিয়ে সাথে ক্যামেরা, খাবার পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনিয় জিনিস পত্র নিয়ে পৌঁছে গেছি গাবতলি।
গাবতলি পৌঁছে দেখি এখনও কেউ আসেনি। ইতিমধ্যে যাত্রা শুরুর স্থান পরিবর্তন করে শাহ আলী মাজার গেইট নিয়ে আসা হয়েছে। আমি গাবতলি থেকে ইউটার্ন নিয়ে চলে আসলাম শাহ আলী মাজার গেইট।
মাজার গেইট এসে দেখি অনেকেই চলে আসছেন। এদের ভিতরে জাবেদ আর এক ছোট ভাই কে ছাড়া তেমন কাউকেই চিনলাম না।
আমরা নির্ধারিত একটা লেগুনাতে উঠলাম। লেগুনা আমাদের নিয়ে চলল আকরান বাজার, বিরুলিয়া, সাভারের দিকে।
লেগুনায় বসে রাস্তার পাশে কি রয়েছে তা দেখার কোন উপায় ছিল না। আমি চুপচাপ বসে রইলাম। তবে পরিচিত আপু এবং ভাইয়েরা তাদের নিজের মধ্যে গল্প করছিলেন। লেগুনা তার নিজস্ব ইঞ্জিনের শব্দ করতে করতে আমাদের নিয়ে এগিয়ে চলল।
আরও: জাতীয় স্মৃতিসৌধ
ভ্রমণ বিরতি – আকরান বাজার
প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের লেগুনা আকরান বাজার এসে থামল। লেগুনা আর সামনে যাবে না। এখান থেকে আমাদেরকে অটো রিক্সা করে সাদুল্লাপুর যেতে হবে।
তাছাড়া আরও কয়েকজন ভ্রমণ সঙ্গী আমাদের সাথে এখান থেকে যোগ দিবেন। তারা এসে পৌঁছালেই আমরা সাদুল্লাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
লেগুনা থেকে নেমে যে যার মত করে হালকা নাস্তা করছিলেন। কেউ পানি পান করছিলেন। কেউবা আবার আকরান বাজার ঘুরে দেখছিলেন। তবে আকরান বাজারের বেশীরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। খুব সকালে হয়তো তারা দোকান খুলেন না।
ইতিমধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য উঠেছে। সূর্যের তেজ থেকে বোঝা যাচ্ছে আজকে প্রখর রোদ হবে। ইতিমধ্যে আমাদের বাকি ভ্রমণ সঙ্গীরা চলে এসেছেন। আমরা আকরান বাজার থেকে আমাদের ২য় যাত্রা শুরু করলাম। উদ্দেশ্য গোলাপের রাজ্য ভ্রমণ।
আরও: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণ
ফুলের গ্রাম
এদিকে রাস্তা-ঘাট এর অবস্থা ভালো। সকাল বেলা অটো রিক্সায় চড়তে আমাদের ভালো লাগছিল। গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে এটো রিক্সা করে কয়েকজন ভ্রমণ পিপাসু এই সকাল বেলা যাচ্ছে একটা গোলাপের রাজ্যে। উদ্দেশ্য খুব কাছ থেকে গোলাপের পাপড়ি ছুঁয়ে দেখা এবং যতটা সম্ভব নিজেকে প্রকৃতির মাঝে বিলীন করে দেয়া।
তারা কিছুদূর এগোতেই দেখতে পেলো রাস্তার দু’পাশে সারি সারি গোলাপ আর গোলাপ। লাল গোলাপের পাপড়িবেয়ে পানির ফোটা ঝড়ে পরছে। দেখে মনে হয় যেন এখানে কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছে। আর সেই বৃষ্টির পানি গোলাপ গাছের পাপড়ি এবং পাতা থেকে ডগা বেয়ে শূন্যে ঝরে পড়ছে।
এরই মাঝে অটোরিক্সা একজন রাখালকে ক্রস করে গেলো। রাখাল একপাল গরুকে সামনের দিকে তাড়া করতে করতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হই… উঠ উঠ
আমরা চারদিকের এই চমৎকার দৃশ্য দেখছিলাম। এটাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলল সকালের ঠান্ডা মৃদু বাতাস।
আমি চুপচাপ। কোন কথা বলছি না। দু’চোখ ভরে শুরু গোলাপের রাজ্যের সৌন্দর্য দেখছিলাম। ইতিমধ্যে আমার পাশে বসা একজন আপু আমাকে বললেন আপনার সম্পর্কে আমি গুগল করে জেনে নিয়েছি। আপনার নাম GoArif না? আমি মাথা নেড়ে উত্তর দিলাম।
আরও: মায়াদ্বীপ ভ্রমণ
গোলাপ গ্রাম
জাবেদ ইতিমধ্যে আমাকে আজকের ট্যুরের কয়েকজন ট্যুর মেম্বারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। হাস্যোজ্জ্বল প্রাণবন্ত হিসেবে জাবেদ সবার কাছে প্রিয়। যদিও ছেলেটা একটু ঘন কথা বলে। তবে ওর কথা বলার একাগ্রতা এবং স্বভাব সুলভ আচরণ সেটা ভুলিয়ে দেয়।
সাদুল্লাপুর, মানে গোলাপ গ্রাম এসেছি ৫মিনিট হলো। ইতিমধ্যে অটো রিক্সা ড্রাইভার আমাদেরকে রাস্তার পাশে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছেন।
এখানের জায়গাটা অনেকটাই জনমানব শূন্য। চারপাশে সুধু সবুজের সমারোহ। একজন বললেন, কিছুটা হেটে গেলেই গোলাপ দেখতে পাবো।
আমরা হেটে চলছি। প্রচন্ড রোদ থেকে এসে গায়ে লাগছে। অনেকেই ইতিমধ্যে এই গরমে ঘেমে গেছেন আমার অবস্থাও তাই। মিনিট খানেক হাটার পরই কাঙ্খিত সেই গোলাপের সমারোহ দেখতে পেলাম।
আরও: ঢাকা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
গোলাপ গ্রামে কি রয়েছে?
গোলাপ গ্রামে কি রয়েছে? শুনে হাসি পেতে পারে যে, গোলাপ গ্রামে তো গোলাপই থাকবে তাই না! কিন্তু না, এখানে প্রকৃতির যে সবুজ সমারোহ পাবেন তা আপনাকে ভুলিয়ে দিবে যে আপনি পৃথিবীতে আছেন। আপনার মনে হবে আপনি কোন একটা স্বপ্নের রাজ্যে চলে এসেছেন। আপনার নিজেকে চিমটি কেটে দেখতে ইচ্ছা করবে।
গোলাপ গ্রামে আমি কি দেখলাম
মিরপুর বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে তুরাগ নদীর তীরে এই গোলাপ গ্রামটি অবস্থিত। এটা একটা লেক আইল্যান্ড। আপনি হাটতে হাটতে যখন এটার শেষের দিকে চলে আসবেন তখন নিচের দিকে দেখে অবাক হবেন যে আপনি কত উচ্চতায় রয়েছে!
হাটতে হাটতে এখানে আপনি চারদিকে গোলাপ দেখতে পাবেন। এখানে প্রায় ৪০ প্রজাতির ফুলের চাষ করা হয়।
লাল গোলাপ থেকে শুরু করে নীল, হলুদ, গোলাপী, বেগুনীসহ বিভিন্ন রং আর আকৃতির গোলাপ পাবেন এখানে। এছাড়া আরও রয়েছে শিউলি, জবা, গন্ধরাজ, হাস্নাহেনা, কামিনি, রঙ্গন, কসমস, ডালিয়া, স্নো-বল, বেলী, বাগান বিলাস, টগর, কাঁঠালচাপা, এলামেন্ডা, ফেলেন ডুলা, জিনিয়া, বকুল ও গাঁদা ফুল।
এতো উচু দ্বীপে পানি তোলার জন্য কিছু ডিপ টিউবয়েল রয়েছে।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু গোলাপ চাষি গোলাপের পরিচর্যার কাজ শুরু করেছেন।
এখানে দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা ভাবে কোন ব্যবস্থা নেই। ঝড়ের সময় এখানে না আসাই ভাল কারণ এখানে আশ্রয় নেয়ার মত কোন জায়গা নেই। তাছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুব একটা ভালো না।
তবে কয়েকটা জমি পরপর কিছু বড় গাছ থাকায় কিছুটা হলেও রোদ থেকে বাঁচতে পারবেন। তবে সবচেয়ে দারুন দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন দ্বীপের পাড়ে দাঁড়ালে।
গোলাপ গ্রামে গোলাপের দাম
গোলাপ গ্রামে গোলাপের দাম কত? গোলাপ গ্রাম থেকে ফ্রিতে গোলাপ নেয়ার কোন উপায় নেই। লুকিয়ে নিতে পারেন তবে সেটা উচিৎ না।
তবে আপনি চাইলে তাদের থেকে গোলাপ কিনে নিতে পারেন। গোলাপ কিনার সাধারণ একটা ধারনা দেই। এরা খুচরা গোলাপ বিক্রি করতে চায় না। আপনাকে কম পক্ষে ১০০টা গোলাপ নিতে হবে।
গোলাপের দাম সব সময় এক থাকে না। এই যেমন ধরেন, ৫০ টার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা আবার কোনদিন ৩০০ টা গোলাপের দাম ১০০ টাকা।
আরও: পানাম নগর ভ্রমণ
গোলাপের হাট
গোলাপ গ্রামের পাশেই শ্যামপুর গ্রামে প্রতি সন্ধ্যায় গোলাপের হাট বসে। বিশেষ করে শীতের সময় এখানে বেশি গোলাপ পাওয়া যায়। তাছাড়া ঢাকা শহরের গোলাপের চাহিদা এখান থেকেই মিটানো হয়।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী এসে ভিড় জমান গোলাপ কিনার জন্য। এখানে আপনি খুচরা এবং পাইকারি দুই ভাবেই গোলাপ কিনতে পারবেন। এছাড়া মোস্তাপাড়ায় সাবু মার্কেটেও গোলাপ বেচা-কেনা হয়।
গোলাপ গ্রাম ভ্রমণ টিপস
গোলাপ গ্রাম ভ্রমণের কিছু টিপস দেয়া হল-
- গোলাপ গ্রামে খুব সকালে অথবা বিকেলের দিকে ভ্রমণ করবেন। দুপুরে এখানে প্রচন্ড রোদ থাকে।
- গ্রীষ্মে এখানে ভ্রমণের সময় সাথে ছাতা অথবা রেইনকোট নিতে ভুলবেন না।
- গোলাপ গ্রাম সদর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সাথে করে অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিসিন নিয়ে নিবেন।
- জায়গাটি অত্যন্ত নির্জন এলাকায় তাই একা ভ্রমণ করা উচিৎ নয়।
- একজন ভ্রমণ কারীর সাথে ক্যামেরা থেকে শুরু করে মোবাইল, ল্যাপটপ, ড্রোন ইত্যাদি থাকে। তাই নিরিবিলি স্থানে ভ্রমণ করার সময় সদা সতর্ক থাকা উচিত। বলাতো যায়না কখন বিপদ ঘটে যায়।
- ভ্রমণে পান করার জন্য সাথে ফ্রেশ পানি নিয়ে নিবেন। সাথে শুকনো খাবার নিতে ভুলবেন না।
- ভ্রমণে সাইকেল নিয়ে গেলে কোথাও নিরাপদ স্থানে রেখে যাবেন অথবা সাথে রাখবেন। কারন এখানে সাইকেল রাখার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই।
- বর্ষার সময় এখানে ভ্রমণ না করাই উত্তম।
- অতি উৎসাহী হয়ে গোলাপ বাগানের ভিতর দিয়ে হাঁটবেন না এতে গোলাপের কাটা গায়ে বিঁধে যেতে পারে।
- নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে হাঁটুন কারণ গোলাপ বাগানে বা ঝোপঝাড়ে সাপ থাকতে পারে।
- অতি উৎসাহী হয়ে দ্বীপের একেবারে পাড়ে যাবে না। একবার নিচে গড়িয়ে পরলে উপরে উঠার আর চান্স নেই। তাই সাবধান।
- না বলে গোলাপ ছিঁড়বেন না।
- প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করবেন না।
- স্থানীয়দের সাথে খারাপ আচরণ করবেন না।
- সন্ধ্যার পূর্বেই এখান থেকে চলে আসবেন।
- এখানে শীতকালে ভ্রমণ করাই উত্তম।
- যেকোন সমস্যায় গোলাপ চাষীদের সহযোগিতা নিন।
- ড্রোন উড়ানোর আগে অনুমতি নিয়ে নিবেন।
- অপরিচিত কারো দেওয়া কিছু খাবেন না।
- কোন ইভেন্ট বা অপরিচিত কারো সাথে ভ্রমণে যেতে চাইলে ভ্রমণ সঙ্গী কীভাবে নির্বাচন করবেন তা পড়ে নিন।
ভ্রমণ গাইড
ঢাকা থেকে গোলাপ গ্রাম এর দূরত্ব প্রায় ২৪ কিলোমিটার।
নৌপথে ভ্রমণ
ঢাকার যেকোন জায়গা থেকে প্রথমে মিরপুর ১ নাম্বার বাসষ্ট্যান্ড চলে আসবেন। তারপর রিকশায় দিয়াবাড়ি(মনে রাখবেন: এটা উত্তরার দিয়াবাড়ি নয়) বটতলা চলে আসবেন। ভাড়া নিবে ২০ থেকে ২৫ টাকা মত।
চাইলে বাসেও যেতে পারেন। যে সব বাস গুলো যায়ঃ আলিফ, শ্রাবনী, হোমনা বাস দিয়াবাড়ির সামনে দিয়ে যায়। ভাড়া নিবে ৫ টাকা।
চলে আসলেন দিয়াবাড়ী। দিয়াবাড়ী ঘাট থেকে আধা ঘন্টা পর পর ট্রলার সাদুল্লাপুরের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। ট্রালার সকাল ৮.৩০ থেকে চলাচল শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬ টার পর এখানে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বর্ষায় যেতে সময় লাগে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট। নদীতে পানি কম থাকলে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট লাগে। ট্রলার ভাড়া নিবে ২০ টাকা।
সড়কপথে ভ্রমণ
সড়কপথে গোলাপ গ্রাম যেতে চাইলে ঢাকার যেকোন জায়গা থেকে প্রথমে মিরপুর ১ নাম্বার বাসষ্ট্যান্ড চলে আসবেন।
মাজার রোড থেকে লেগুনা করে আকরান বাজার। আকরান বাজার থেকে ১৫ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে সোজা চলে আসবেন গোলাপ গ্রাম।
আরও: জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান
কোথায় খাবেন
নৌকায় ভ্রমণে গেলে সাদুল্লাপুর ঘাটের কাছেই খাবার হোটেল পাবেন। আর সড়কপথে গেলে আকরান বাজারে খাবার হোটেল থেকে খেয়ে নিতে পারেন।
ফেসবুক: Kuhudak
O vai, ki bolbo!! Apnar lekha gulo pore abong ato sundhor babe bornona sune Atoi interested hoe gesi j, dui ak diner moddei okhane jete isse hosse.. Thank you so much, Arif vai..
(Uttara thaki, amr college Charabag, Ashulia, Birulia bridze thekeo college a jai)
Thank you so much vaiya.
Nice post! Thanks for share.
You are most welcome.